Barasat: রোগীরা সেরে উঠছেন তুড়িতে! বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শুরু হল বিশেষ থেরাপি
Barasat: চিকিৎসকরাই জানাচ্ছেন, আসলে হাসপাতালে যখন এক রোগী আসেন, তাঁর তো শারীরিক কষ্ট থাকেই, কিন্তু তাঁর পরিজনদের প্রচুর মানসিক যন্ত্রণা থাকে। রোগীর মানসিক প্রশান্তি হলে তাঁর আত্মীয়রাও খানিকটা স্বস্তি পান বলে জানাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বারাসত: মেডিসিনের পাশাপাশি মিউজিক থেরাপি দিয়ে বারাসাত হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসার নতুন বন্দোবস্ত করেছে বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ। শারীরিক যন্ত্রণা কষ্টের ফাঁকে দিনের বিভিন্ন সময়ে ওয়ার্ডের মধ্যে মিউজিক বাজিয়ে তাঁদের মানসিক দিক পরিবর্তনের চেষ্টা অনেকটাই সফল মনে করেন বারাসত হাসপাতালের সুপার।
জ্বর সর্দি কাশি কষ্ট যন্ত্রণা এসব নিয়ে রোগীরা বারাসত মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। ওষুধের মাধ্যমে সুস্থ হয়ে তাঁরা বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু এর মধ্যেও রোগীদের নানা জটিলতা থেকে যায়। তাঁদের মানসিক স্বস্তি দিতেই বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ শুরু করল মিউজিক থেরাপি। রোগীদের অসহ্য কষ্ট যন্ত্রণার মধ্যে দিনের বিভিন্ন সময়ে মিউজিক চালিয়ে তাঁদের মানসিক স্বস্তি দেওয়া হবে।
চিকিৎসকরাই জানাচ্ছেন, আসলে হাসপাতালে যখন এক রোগী আসেন, তাঁর তো শারীরিক কষ্ট থাকেই, কিন্তু তাঁর পরিজনদের প্রচুর মানসিক যন্ত্রণা থাকে। রোগীর মানসিক প্রশান্তি হলে তাঁর আত্মীয়রাও খানিকটা স্বস্তি পান বলে জানাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই এই মিউজিক থেরাপি নিয়ে সাধারণ রোগী ও আত্মীয়দের মধ্যে উৎসাহ লক্ষ্য করেছেন বারাসাত মেডিক্যাল কলেজের সুপার সুব্রত মণ্ডল।
সুপার জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই পরিষেবা চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে এবং অনেক রোগী তার মানসিক স্বস্তিতে সেরে ওঠার তাগিদ দেখাচ্ছেন। একই সঙ্গে অন্য চিকিৎসা সিস্টাররাও উৎসাহ পান কাজ করার ক্ষেত্রে।
বারাসত হাসপাতালের চিকিৎসক বলছেন, “আমরা তো ওষুধ দিই, চিকিৎসা করি, সেটা শারীরিক চিকিৎসা। কিন্তু বাড়ির লোক ভীষণভাবে মানসিক অশান্তিতে থাকে। তাই মানসিক প্রশান্তির জন্যই একটা হালকা গান যদি চলে, ভালই লাগে। রোগীদের পরিবারের অভাব অভিযোগও অনেক কমেছে। আলাদা পরিবেশ তৈরি করতে চাই। মেডিসিন ওয়ার্ড, প্রসূতি বিভাগ, শিশু বিভাগে চালু হয়েছে আপাতত।”
হাসপাতালের ভর্তি রোগীর পরিজন সুশান্ত পাল বলেন, “আমাদের সকলেরই খুব ভাল লাগছে। এই ধরনের বন্দোবস্ত হাসপাতালে আশাই করা যায় না। আমারা বাড়ির লোকও তো ভীষণ চিন্তায় থাকি। একটু শান্তি আরকী!”