Subodh Singh: আসানসোল থেকে এবার ব্যারাকপুরে সুবোধ, পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ
Subodh Singh: সুবোধ সিংয়ের আইনজীবী কমলজিৎ সিং এদিন ব্যারাকপুর আদালত চত্বরে বলেন, জেল কর্তৃপক্ষ তো মামলা দায়ের করতে পারত। সাত বছর ধরে উনি জেল হেফাজতে আছেন। ওনার নামে একটাও মামলা নেই। একটা তো কেস হবে। ওনার কাছে মোবাইল পাওয়া গিয়েছে এমনও তো কোনও জেলে অভিযোগ ওঠেনি। তাহলে মোবাইল ফোনে কথা বলার অভিযোগের ভিত্তি কী?"
উত্তর ২৪ পরগনা: ব্যবসায়ীকে গুলিকাণ্ডে সুবোধ সিংয়ের সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ। শনিবার এই নির্দেশ দিয়েছে ব্যারাকপুর আদালত। এদিন আসানসোল থেকে ব্যারাকপুরের আদালতে পেশ করা হয় সুবোধ সিংকে। বেলঘরিয়া থানার পুলিশ ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছিল। যদিও আদালত সাত দিনের পুলিশ হেফাজত দেয়।
সুবোধ সিংয়ের বিরুদ্ধে বিহারের বেউর জেলে বসে ৪-৫টি রাজ্যে ডাকাতি, তোলাবাজি এমনকী খুনের পরিকল্পনা করার অভিযোগ পর্যন্ত ওঠে। সুবোধের নামে ব্যারাকপুরের কয়েকটি অপরাধে যুক্ত থাকারও অভিযোগ রয়েছে।
গত ১৫ জুন ব্যারাকপুরের ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের গাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এরপরই তদন্তে নেমে উঠে আসে সুবোধের নাম। সিআইডি এদিন তাঁকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলে। সুবোধ সিংয়ের আইনজীবী কমলজিৎ সিং এদিন ব্যারাকপুর আদালত চত্বরে বলেন, জেল কর্তৃপক্ষ তো মামলা দায়ের করতে পারত। সাত বছর ধরে উনি জেল হেফাজতে আছেন। ওনার নামে একটাও মামলা নেই। একটা তো কেস হবে। ওনার কাছে মোবাইল পাওয়া গিয়েছে এমনও তো কোনও জেলে অভিযোগ ওঠেনি। তাহলে মোবাইল ফোনে কথা বলার অভিযোগের ভিত্তি কী?”
বিহারের গ্যাংস্টার হিসাবে সুবোধ সিং পরিচিত। ২০২২ সালে রানিগঞ্জে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। অভিযোগ ওঠে অপহরণের চেষ্টারও। সেই ঘটনার তদন্তেই উঠে আসে সুবোধ সিংয়ের নাম। গ্রেফতারও হন। বিহারের বেউর জেলে ছিলেন। এরপরই সিআইডি তাঁকে হেফাজতে চায়। তাঁকে হেফাজতেও পায়। এরপরই পেঁয়াজের মতো একের পর এক সুবোধ-কীর্তি সামনে আসতে থাকে।