Barrackpore: ল্যাবে ক্লাস চলাকালীন দুর্ঘটনা, আগুন গায়ে দৌড়াদৌড়ি ক্লাস টেনের সৌভিকের, সাহায্যে এগলো না কেউ
Barrackpore: ভরত বিশ্বাস বাচ্চাটির বাবা বলেন, "ল্যাবে প্রাকটিস করতে করতে আগুন ধরে। হাত দিয়ে কোনও মতে জামা খোলায় চেষ্টা করছিল। তার জন্য দুহাত পুড়েও গিয়েছে। তারপরও জামাটা খুলে ফেলে। প্যান্ট খুলতে পারেনি। এই ঘটনায় ঘরের মধ্যে ও দৌড়চ্ছে। একটা বাচ্চার গায়ে আগুন লাগল আর ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ঘরে চুপ করে দাঁড়িয়ে রয়েছে।"
ব্যারাকপুর: ভয়ঙ্কর ঘটনা ব্যারাকপুরে। একটি বেসরকারি স্কুলে গবেষণাগারে প্রশিক্ষণ চলাকালীন অগ্নিদগ্ধ হয়ে গেল পড়ুয়া। যন্ত্রণার দরুণ কার্যত ছোটাছুটি করতে থাকেন ল্যাবের ভিতর। পরিবারের অভিযোগ, স্কুলের গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয়, ছাত্রটি যাতে এ সংক্রান্ত বিষয়ে কাউকে না জানায় সেই নিয়েও তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার কর্তৃপক্ষর। একই সঙ্গে জখম ছাত্রের মায়ের বক্তব্য থানায় অভিযোগ করতে গেলে নাকি ব্যারাকপুর থানার পুলিশ ডায়রি নেয়নি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ব্যারাকপুরের সদর বাজার এলাকায়।
জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়ত সৌভিক বিশ্বাস নামে ওই পড়ুয়া। শুক্রবার কেমিস্ট্রি ক্লাসে ল্যাবের গিয়ে সে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস করছিল। ছাত্রের পরিবারের দাবি, সেই সময় কেমিক্যাল থাকা টেস্ট টিউবে আচমকাই বিস্ফোরণ ঘটে। তার শরীরে এসে পড়ে সেটি। সঙ্গে-সঙ্গে আগুন ধরে যায়। সৌভিকের শরীরের নিচের অংশতে এসে পড়ে কেমিক্যাল সহ আগুন। গুরুতর যখন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরিবারের অভিযোগ আগুন লাগার পর সেই ছাত্র স্কুলে ছোটাছুটি করতে থাকে। কিন্তু ল্যাব টেকনিশিয়ান এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও রকম সাহায্য করতে আসেনি। উপরন্তু নাকি বাড়ির লোককে জানাতে গেলে ছাত্রকে ধমকি দেওয়া হয়। তারপর সেই ছাত্রকে বেলঘড়িয়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যায়। বাড়ির লোককেও স্কুলের তরফে জানানো হয় তেমন কিছু হয়নি আহত পড়ুয়ার পরিবারের দাবি তেমনটাই।
এরপরেই যখন বাড়ির লোক চাপ সৃষ্টি করে তখন স্কুলের পক্ষ থেকে বলা হয় এই কথা যেন বাইরে না হয় যায়। অভিযোগ, কার্যত ধমকির সুরে বলা হয় বিষয়টা ভাল হবে না। পরিবারে আরও দাবি, সৌভিককে দেখতে চাইলে মাকে দেখতে দেওয়া হয়নি। ভরত বিশ্বাস বাচ্চাটির বাবা বলেন, “ল্যাবে প্রাকটিস করতে করতে আগুন ধরে। হাত দিয়ে কোনও মতে জামা খোলায় চেষ্টা করছিল। তার জন্য দুহাত পুড়েও গিয়েছে। তারপরও জামাটা খুলে ফেলে। প্যান্ট খুলতে পারেনি। এই ঘটনায় ঘরের মধ্যে ও দৌড়চ্ছে। একটা বাচ্চার গায়ে আগুন লাগল আর ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ঘরে চুপ করে দাঁড়িয়ে রয়েছে।”
এরপর ব্যারাকপুরের কল্যাণী হাইরোডের ধারে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তাকে নিয়ে আসা হয়। তার পায়ের উপরের অংশে অনেকটাই চামড়া উঠে যাওয়ায় বর্তমানে সে আইসিইউতে রয়েছে। ঘটনার পূর্ণ তদন্তে দাবি করে পরিবার। যদিও, স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি তারা সঙ্গে-সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। স্কুল ম্যানেজমেন্টের অ্যাডমিন চন্দন চৌধুরী বলেন, “আমাকে এখানে পাঠানো বাচ্চাটার জন্য। সেই জন্য কাল রাত থেকে রয়েছি।” অপরদিকে, নোয়াপাড়া বিধানসভার বিধায় মঞ্জু বসু জানান, “এই ঘটনা হয়ে থাকলে মারত্মক ঘটনা। সমবেদনা থাকল। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করব।”