Basirhat Lynching: অবাধ যৌনতায় ‘লাইসেন্স’ পেতে মেয়ের সঙ্গে প্রেমিকের বিয়ে! মেয়ের সামনেই জামাইয়ের সঙ্গে অন্তঃরঙ্গ মুহূর্তে মা

Basirhat Lynching: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর আঠাশের যুবক নুরুজ্জামান শেখের সঙ্গে গ্রামেরই এক ৪২ বছরের গৃহবধূর সম্পর্ক ছিল প্রায় পাঁচ বছর। গ্রামবাসীদের চাপের মুখে পড়ে ইতিমধ্যে তাঁরা জানিয়েছেন, তিন মাস দিঘাতেও কাটিয়েছেন।

Basirhat Lynching: অবাধ যৌনতায় 'লাইসেন্স' পেতে মেয়ের সঙ্গে প্রেমিকের বিয়ে! মেয়ের সামনেই জামাইয়ের সঙ্গে অন্তঃরঙ্গ মুহূর্তে মা
গ্রাফিক্স TV9 বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 29, 2023 | 1:30 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: প্রেমিকের বয়স ২৮ আর প্রেমিকার ৪২। দীর্ঘদিনের প্রেম। বাড়ি ছেড়ে একসঙ্গে দিঘায় কাটিয়েছেন তিন মাসও। কিন্তু অসম প্রেম পরিণতি পাচ্ছিল না। তাই প্রেম বাঁচাতে নয়া ছক কষেন গৃহবধূ। নিজের একুশ বছর বয়সের মেয়ের সঙ্গে প্রেমিকের বিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে দেন। এরপর লাইসেন্স পেয়ে যান অবাধ প্রেমে। জামাইয়ের সঙ্গেই চলতে থাকে চুটিয়ে প্রেম। কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পর মায়ের আসল চেহারা প্রকাশ্যে চলে আসে মেয়ের কাছে। নিজের স্বামীর সঙ্গেই মাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবাদ করেছিলেন। জোটে অকথ্য অত্যাচার। খবর পেতেই সম্পর্কে শাশুড়ি জামাইকে গাছে বেঁধে বেধড়ক পেটালেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের (Basirhat) হাড়োয়া থানা এলাকায়। ওই দু’জনকে সামাজিক বয়কট, গ্রাম ছাড়া করার ডাক দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর আঠাশের যুবকের সঙ্গে গ্রামেরই এক ৪২ বছরের গৃহবধূর সম্পর্ক ছিল প্রায় পাঁচ বছর। গ্রামবাসীদের চাপের মুখে পড়ে ইতিমধ্যে তাঁরা জানিয়েছেন, তিন মাস দিঘাতেও কাটিয়েছেন। সেই সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখতে বধূর ২১ বছরের মেয়ের সঙ্গে পরিকল্পনা করে ওই যুবকের বিয়ে দেন ছয় মাস আগে। এরপর জামাইকে ঘরে রেখে অবাধে চলতে থাকে শারীরিক সম্পর্ক।

রবিবার সকালে ২১ বছরের ওই যুবতী তাঁর মায়ের সঙ্গে স্বামীকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তারপর গ্রামবাসীদের খবর দিলে তাঁরা গিয়ে শাশুড়ি ও জামাইকে গাছে বেঁধে রাখেন। পাশাপাশি তাঁদেরকে সামাজিক বয়কটের জন্য গণস্বাক্ষরও করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হাড়োয়া থানার পুলিশ। জামাই ও শাশুড়িকে উদ্ধার করে হাড়োয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে হাড়োয়া থানার পুলিশ।

নিগৃহীত মেয়ে বলেন,  “আমি এসবের কিছুই জানতাম না। রবিবার সকালে দোকানে আমাকে একটা জিনিস আনতে পাঠিয়েছিল মা। আমি এসে দেখি ওরা ওই ভাবে রয়েছে। আমি প্রতিবাদ করলে, মা আমাকে ভীষণ মারে। কাকাকে সবটা জানাই। এরপর ওরা গ্রামে সবার সামনেই স্বীকার করেছে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ওদের। আসলে নিজের শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য আমাকে ওর সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিল মা।” অভিযুক্তরা অবশ্য এদিন আর বলার মতো কোনও পরিস্থিতিতেই ছিলেন না।