Murder: বৌদিকে কুপিয়ে খুন, যাবজ্জীবন জেলেই কাটতে চলছে দেওর-শাশুড়ি-ননদের
Murder: আদালতের রায়ে খুশির হাওয়া মৃতার গ্রামে। খুনের পরই অভিযুক্তদের কঠোর থেকে কঠোরতম সাজার দাবি করেছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। অবশেষে আদালত অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন সাজার নির্দেশ দেওয়ায় খুশি সকলেই।
বনগাঁ: বৌদিকে কুপিয়ে খুনের মামলায় দেওর-সহ শাশুড়ি, ননদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল আদালত। রায় ঘোষণা হতেই সরকার পক্ষের আইনজীবীকে ফুলের মালা পরিয়ে উচ্ছ্বাস গ্রামবাসীদের। প্রসঙ্গত, গত বছরের ফেব্রুয়ারির ২৭ তারিখ নৃশংস এক খুনের ঘটনা ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার হাটখোলা এলাকায়। কুপিয়ে খুন করা হয় ফুলমালা কীর্তনীয়া নামে এক গৃহবধূকে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হতেই তদন্তে নেমে পুলিশ ওই গৃহবধূর দেওর অমর কির্তনীয়া, শাশুড়ি সারথী কীর্তনীয়া এবং ননদ রাধিকা কির্তনীয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকেই চলছিল শুনানি।
শেষ পর্যন্ত সবপক্ষের সাক্ষ্যদান, সওয়াল-জবাব শেষে এদিন রায় দেন বনগাঁ মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত ২ এর বিচারক। সরকারপক্ষের আইনজীবী সঞ্জয় দাস বলছেন, এই মামলায় মোট ২৫ জন সাক্ষী দিয়েছেন। বিচারক সবটা শুনে তৎপরতার সঙ্গে মামলার শুনানি করেন। সব শুনে উনি তিন জনের যাবজ্জীবন সাজার নির্দেশ দেন।
আদালতের রায়ে খুশির হাওয়া মৃতার গ্রামে। খুনের পরই অভিযুক্তদের কঠোর থেকে কঠোরতম সাজার দাবি করেছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। অবশেষে আদালত অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন সাজার নির্দেশ দেওয়ায় খুশি সকলেই। খুশি মৃতার পরিবারের সদস্যরাও। তাঁরা বলছেন, আর তো আমাদের মেয়েকে ফিরে পাব না। কিন্তু, ওরা সারা জীবন জেলে থাকুক। বুঝক এ কাজ করলে কী হতে পারে শেষ পর্যন্ত। তবে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন আসমি পক্ষের আইনজীবী দেবাকর বিশ্বাস। শীঘ্রই তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।