BSF: বজ্র আঁটুনি সত্বেও, ফস্কা গেরো পাচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা…ভূত কি সর্ষেতেই?
Basirhat: বসিরহাটের স্বরূপনগর থানা এলাকা দিয়ে গিয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। হাকিমপুর বিথারি সীমান্ত এলাকায় সম্প্রতি ঘটছে অনুপ্রবেশের ঘটনাগুলি।
উত্তর ২৪ পরগনা: অনুপ্রবেশ ঠেকানো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে। বজ্র আঁটুনি সত্ত্বেও ফস্কা গেরো ঠিক খুঁজে বের করছে অনুপ্রবেশকারীরা। বিগত কয়েকদিন সীমান্ত বেরোতে কি আটক হওয়া বাংলাদেশিদের সংখ্যা যেন সেই দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। মাত্র ৪ দিনে সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা করা হয়েছে ১৫ জন বাংলাদেশিকে। ক্রমবর্ধমান এই সংখ্যাই কর্মীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে।
বসিরহাটের স্বরূপনগর থানা এলাকা দিয়ে গিয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। হাকিমপুর বিথারি সীমান্ত এলাকায় সম্প্রতি ঘটছে অনুপ্রবেশের ঘটনাগুলি। এই এলাকাতেই এক মহিলা সহ চারজন সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন। সেই সময় ওই এলাকায় সকল নারী দায়িত্ব ছিল ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ান সীমান্তরক্ষী বাহিনী। প্রথম দেখাতেই সন্দেহ হয় তাদের। চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তারা কোনও বৈধ নথিপপত্র দেখাতে পারেনি। ফলে আন্দাজ করা যায়, নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকেছে তারা। এরপরই আটক করা হয় তাদের। পরে স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয় ধৃতদের। তদন্তে দেখা যায়, বাংলাদেশের খুলনা জেলার বাসিন্দা। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের তোলা হয়েছিল বসিরহাট মহকুমা আদালতে।
অনুপ্রবেশ সম্প্রতিককালে চিন্তা বাড়িয়েছে সুরক্ষা বাহিনীর কাছে। কারণ মাত্র চার দিনে ১৫ জন বাংলাদেশি আটক হলো একই এলাকা থেকে। কড়া নজরদারি সত্ত্বেও কিভাবে তারা ঢুকছে তা নিয়ে ধন্ধে তদন্তকারীরা।
বস্তুত, এর আগে সীমান্ত পেরিয়ে সোনা পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। সোমবার সকালে একটি ব্যক্তিকে আটক করে ৮১টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছেন বিএসএফ জওয়ানরা। জানা গিয়েছে, ওই পরিমাণ সোনার বাজার মূল্য ৫ কোটি টাকারও বেশি। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার রাংঘাট সীমান্ত থেকে ওই পরিমাণ সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়েছে। এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে বিএসএফের তরফে। এই নিয়ে গত চার দিনে তৃতীয় বার সোনা পাচার রুখল বিএসএফ।