Physical Harassment: হাসনাবাদে হুলস্থুল! ঘরে শুয়ে বধূ, কিছু না পেয়ে শেষে এমন ঘৃণ্য কাজ দুই চোরের!
বসিরহাটের হাসনাবাদ থানা এলাকায় বাড়ি নির্যাতিতা গৃহবধূর। তাঁর স্বামী কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন বলে জানা গিয়েছে।
হাসনাবাদ: চুরি করতে ভোর রাতে বাড়িতে ঢুকেছিল দুই চোর। কিন্তু বাড়ি ঢুকে মূল্যবান কিছু পায়নি চোরেরা। এমনকি নগদ টাকাও ছিল না বাড়িতে। কিছু না পেয়ে গৃহবধূকে চোরের গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বধূর চিৎকার শুনে পাড়ার লোকেরা চলে আসেন সেখানে। এবং ধর্ষণে অভিযুক্ত দুই চোরকে আটক করে। এর পর এলাকাবাসীরা অভিযুক্তদের গণপিটুনি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। শুক্রবার ভোররাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ থানার একটি গ্রামে। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
বসিরহাটের হাসনাবাদ থানা এলাকায় বাড়ি নির্যাতিতা গৃহবধূর। তাঁর স্বামী কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন বলে জানা গিয়েছে। অন্য়ান্য দিনের মতোই বাড়িতে শাশুড়ির সঙ্গে ঘুমাচ্ছিলেন ২১ বছরের ওই বধূ। ভোররাতে চোরে তাঁদের বাড়িতে ঢোকে বলে অভিযোগ। বাড়ি থেকে মূল্যবান কিছু পায়নি চোরেরা। তখনই ঘুমিয়ে থাকা বধূর উপরে চোরেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। দুই চোর তাঁকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হয়। চিৎকার শুনে ঘুমে ভেঙে যায় তাঁর শাশুড়ির। তিনি চিৎকার করে পাড়ার লোকেদের ডাকেন। তখন গ্রামবাসীরা ছুটে এসে ধরে ফেলেন দুই অভিযুক্তকে। তার পর অভিযুক্তদের গণধোলাই দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
নির্যাতিতা বধূর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। ওই দুই যুবকের সঙ্গে ওই পরিবারের আগের থেকে কোনও যোগাযোগ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতদের শুক্রবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। তাঁদেরকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। পাশাপাশি ওই নির্যাতিতার বসিরহাট জেলা হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি নথিভুক্ত করা হয়েছে।