CBI Raid: ‘অয়ন শীলকে চিনতামই না, নাম শুনেছি’, দাবি কাঁচরাপাড়ার প্রাক্তন পুরপ্রধানের
CBI: অয়ন শীল নামে এক প্রোমোটারকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযোগ, তাঁর সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় পুরনিয়োগে দুর্নীতির তথ্য। এরপরই সিবিআইকে তদন্তভার দেয় হাইকোর্ট।
উত্তর ২৪ পরগনা: দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ কাঁচরাপাড়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুদামা রায়কে। রবিবার সকালে সুদামা রায়ের বাড়িতে হাজির হয় সিবিআইয়ের দল। ঘরে তল্লাশির পাশাপাশি চলে জিজ্ঞাসাবাদও। তল্লাশির সময় সুদামা রায়ের ঘরের একটি আলমারির তালা ভাঙতে হয়। যদিও প্রাক্তন পুরপ্রধানের বক্তব্য, আলমারির তালা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সে কারণেই ভাঙতে হয়।
সুদামা রায় জানান, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত জানতে চায় সিবিআই। জানতে চায়, সম্পত্তি কী আছে, ছেলে কী করেন? তিনি তা জানিয়েছেন। সুদামা রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক আত্মীয়কে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও প্রাক্তন পুরপ্রধান তা মানতে চাননি। তিনি দাবি করেন, দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই।
সুদামা রায় বলেন, “আমি অয়ন শীলকে চিনতামই না। শুনেছিলাম অয়ন শীল বলে একটা লোক আছে। তাও ২০১৯ সালে জেনেছি। বোর্ডের সিদ্ধান্ত হয় এই বরাত নিয়ে। আমাদের শূন্যপদ তৈরি হওয়ার পর তিনটে পেপারে বিজ্ঞাপন দিই। একটা বাংলা, একটা হিন্দি, একটা ইংরাজি। তারপর সিলেকশন হয়। কাঁচরাপাড়ায় কোনও দুর্নীতি হয়নি। অভিযোগ উঠছে, তদন্ত হবে।”
অন্যদিকে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা জেরার পর হালিশহর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান অংশুমান রায়ের বাড়ি থেকে বেরোয় সিবিআই। সিবিআইয়ের এক আধিকারিক জানান, ২০১৪ সালে একটা রিট পিটিশন হয়। তার ভিত্তিতেই তদন্ত চলছে। অন্যদিকে অংশুমান রায় বলেন, “নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে যে অভিযোগ এসেছে, তা নিয়েই প্রশ্ন করে। সিবিআই আমার ঘরে তল্লাশির পাশাপাশি আমাকে কিছু প্রশ্ন করে। যতদূর জানি সবটা বলেছি। পুরসভা একা নিয়োগ করতে পারে না। আমাদের ডিএলবির কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। কমিটি হয় একটা, সেখানে সরকারি প্রতিনিধি থাকে। যে সংস্থাকে নিয়ে অভিযোগ, তাদেরও টেন্ডারের মাধ্যমেই পাওয়া গিয়েছে। সব কাগজই আছে। আমার জবাবে সন্তুষ্ট।”