CBI RAID: উলুবেড়িয়া, রানাঘাটের পর এবার মধ্যমগ্রাম পৌরসভার দুয়ারে CBI
CBI Raid: সূত্রের খবর, সোমবার সাড়ে বারোটা নাগাদ এসে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। পৌর প্রধান নিমাই ঘোষের ঘরের চারপাশ ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ভিতরে গোয়েন্দারা বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখছেন।
মধ্যমগ্রাম: রবিবার পর সোমবার! ময়দানে তেড়েফুঁড়ে সিবিআই (CBI)। উলুবেড়িয়া, ডায়মন্ডহারবার, রানাঘাট পৌরসভায় হানার পর এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে মধ্যমগ্রাম পুরসভা। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে চলছে তল্লাশি অভিযান। এর আগে গত বৃহস্পতিবার খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে এই মর্মে তল্লাশি চালানো হয় যে তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন এই পুরসভায় কোনও দুর্নীতি হয়েছে কি না। তাই মধ্যমগ্রাম পুরসভায় এই সিবিআই হানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, সোমবার সাড়ে বারোটা নাগাদ এসে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। পৌর প্রধান নিমাই ঘোষের ঘরের চারপাশ ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ভিতরে গোয়েন্দারা বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখছেন। এর আগে পৌর প্রধান নিমাই ঘোষ দাবি করেছিলেন, পৌরসভায় কোনও দুর্নীতি হয়নি। তারপরও আজ পৌরসভায় পৌঁছলেন গোয়েন্দারা। নিমাই ঘোষ বলেন, “আমি মিটিংয়ে ছিলাম। এখন শুনলাম সিবিআই এসেছে। ওনারা কী করতে এসেছে জানি না। ৫ তারিখে ইডি এসেছিল। কাগজ পত্র দেখে বলেছিলেন সব ঠিক আছে।”
প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার বারোটি পৌরসভায় দুর্নীতি হয়েছে এমনটাই মনে করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর বৃহস্পতিবার, রবিবার ও আজ একের পর এক পুরসভায় দুর্নীতির তদন্তে নামে সিবিআই।রানাঘাট উত্তর পশ্চিমের বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের অফিসে সিবিআই হানা। এখন তিনি বিজেপির বিধায়ক হলেও, তার আগে তিনি রানাঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁকে ওই জেলায় সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। তারপরই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।