Basirhat College CCTV: কলেজে অধ্যাপিকা-ছাত্রীদের ‘ওয়াশরুমের’ বাইরে সিসিটিভি! নালিশ গেল শিক্ষামন্ত্রীর কাছে, হাইকোর্টেও মামলা
Basirhat College CCTV: হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছেন অধ্যাপিকারা। অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন অধ্যাপিকারা। তাঁদের বক্তব্য, যদি অধ্যক্ষের সম্মতি নাই থাকে, তাহলে কীভাবে মেয়েদের বাথরুমের সামনে সিসিটিভি বসানো যেতে পারে?
বসিরহাট: মহিলা প্রফেসর ও ছাত্রীদের টয়লেটের সামনে সিসিটিভি! অভিযোগ জানিয়ে এবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি লিখলেন স্বরূপনগর কলেজের অধ্যাপিকা ও ছাত্রীরা। হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছেন অধ্যাপিকারা। অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন অধ্যাপিকারা। তাঁদের বক্তব্য, যদি অধ্যক্ষের সম্মতি নাই থাকে, তাহলে কীভাবে মেয়েদের বাথরুমের সামনে সিসিটিভি বসানো যেতে পারে?
ওই কলেজে ১৯ জন অধ্যাপক-অধ্যাপিকা। তাঁদের দাবি, ২০১৮ সাল থেকে এই কলেজে মোট ২৫ থেকে ৩০টি সিসিটিভিও লাগানো রয়েছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে কলেজের অধ্যাপিকাদের কমন রুমের পাশে মহিলা টয়লেটের দরজার ঠিক বাইরে একটি সিসিটিভি লাগানো হয়। পাশাপাশি ছাত্রীদের টয়লেটের দরজার বাইরেও একটি সিসিটিভি লাগানো হয়েছে।
এক অধ্যাপিকা বলেন, “আমরা কেউই সিসিটিভির বিরুদ্ধে নই। কলেজে দীর্ঘদিন ধরেই সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে মহিলা শৌচালয়ের ঠিক সামনেই এই টিভি লাগানো আমাদের লজ্জায় মাথা হেঁট হচ্ছে।”
কলেজের আরেক অধ্যাপিকা বলেন, “সিসিএল -এর নিয়ম ভঙ্গ করার জন্য আমি ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছি।”
অন্যদিকে, প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী বলেন, “সিসিটিভির পক্ষে আমরা। কিন্তু টয়লেটের সামনে কেন সিসিটিভি লাগানো হল? মহিলা টিচার্স ওয়াশ রুমের সামনে কেন সিসিটিভি লাগানো হল? সেখান থেকে তিনি বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে মজা নেওয়া হচ্ছে কী?”
জানা গিয়েছে, কলেজের অধ্যাপকরা ইতিমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে অভিযোগের চিঠি দিয়েছেন। শুক্রবার কলেজের অধ্যক্ষ কলেজে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁকে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এদিকে, অভিযোগ, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষের ঘরে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।