ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরের তোয়াক্কা না করেই জলা জমি ভরাটের অভিযোগ, বিজেপি বলল, ‘দলের সম্পদরা করছে’
Barahnagar: বরাহনগর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিমচন্দ্র স্ট্রিট এলাকায় রয়েছে বনহুগলি হাইস্কুল। সেই স্কুলের পিছনের দিকে জঙ্গলঘেরা জলাশয়।
উত্তর ২৪ পরগনা: জঙ্গল পরিষ্কার করার নামে মাটি দিয়ে জলাশয় বোজানোর অভিযোগ ঘিরে শোরগোল বরাহনগরে। সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হতেই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিলেন বরাহনগর পুরসভার প্রশাসক অপর্ণা মল্লিক। তাঁর দাবি, এই পুরবোর্ড কখনওই এই ধরনের ঘটনাকে সমর্থন করেনি, এখনও করবে না।
বরাহনগর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিমচন্দ্র স্ট্রিট এলাকায় রয়েছে বনহুগলি হাইস্কুল। সেই স্কুলের পিছনের দিকে জঙ্গলঘেরা জলাশয় ছিল। অভিযোগ, সেই জঙ্গল পরিষ্কার করার নাম করে এলাকার কিছু প্রোমোটার মাটি ফেলে জলাশয় বুজিয়ে দেওয়ার কাজ চালাচ্ছিল। খবর পেয়েছে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর সরমা পাল জলাশয় ভরাটের কাজে বাধা দেন। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি বলেই অভিযোগ। কো-অর্ডিনেটর সরমা পাল জানান, পুরসভাকেও এই বিষয়ে জানানো হয়।
সরমা পালের কথায়, “আমার ওয়ার্ডের এই জমিটা দীর্ঘদিন ধরেই পড়ে রয়েছে দেখছি। জায়গাটা খাস জমি বলেই আমি জানি। সেখানে একটা পুকুরও আছে। ডেঙ্গুর কারণে মাঝে মধ্যে ওই জায়গা পরিষ্কার করিয়ে দিই। কোনও ভাবেই এই জলা জমি ভরাট আমরা মেনে নেব না।”
কিন্তু একই সঙ্গে প্রশ্ন ওঠে, একজন জন প্রতিনিধির কথা অমান্য করে কী ভাবে এই অনৈতিক কাজ চলছে। এই বিষয়কে ইস্যু করে সরব হয় সংবাদমাধ্যম। টিভি নাইন বাংলার মাধ্যমে এই খবর পান বরাহনগর পুরসভার প্রশাসক অপর্ণা মল্লিকও। তিনি শোনার পরই যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার সুদীপ ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দিয়েছেন, পুনরায় সেই জলাশয় থেকে মাটি তুলে আগের জায়গাতেই ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।
বরাহনগরের পুর প্রশাসক অপর্ণা মল্লিকের কথায়, “আমাদের পুরবোর্ড এ ধরনের কোনও অনৈতিক কাজ সমর্থন করে না। আমি খবর পেতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। পুরনো জলাশয়ও আগের অবস্থাতেই ফিরিয়ে আনা হবে। তারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেসিবি মেশিন দিয়ে ওখান থেকে মাটি তুলতে এবং যিনি মালিক রয়েছেন তাঁকেও নোটিস পাঠানো হচ্ছে।”
এই খবর শোনার পর বিজেপির উত্তর শহরতলীর প্রেসিডেন্ট কিশোর কর বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যতই বলুন জলাশয় ভরাট করা যাবে না, তার সেই কথা এলাকার ভাইয়েরা শুনছেন না। আর তারই পুকুর ভরাট করা ভাইয়েরা মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পদ। তৃণমূল ভোটে জেতার পর থেকেই ওদের লক্ষ্য হয়েছে যে কোনও উপায়েই একটা উপার্জনের পথ বের করা। তাতে যদি কোনও পুকুর ভরাট করতে হয় বা প্রোমোটিংয়ের জন্য টাকা তুলতে হয় তাতেও ক্ষতি নেই। পশ্চিমবঙ্গে যেহেতু আইনের শাসন যথাযথ বলবৎ হচ্ছে না, ফলে যারা অপরাধ করছে তারা বেশি করে প্রশ্রয় পাচ্ছে। ভবিষ্যতে আমরা দেখব এরাই দলের সম্পদ হয়ে উঠবে। ভোটে দলের দায়িত্ব সামলাবে।” আরও পড়ুন: ‘রাতে মা থাকে না, তখনই এসব করে! ও আমার সৎ বাবা বলেই হয়ত…’ বিস্ফোরক ষষ্ঠের ছাত্রী