খেয়া পারাপার নিয়েও গোষ্ঠী কোন্দল! আচমকা ভাড়া বৃদ্ধিতে গোলমাল বিদ্যাধরীর ঘাটে

North 24 Parganas: বিদ্যাধরী নদীর এপারে হাড়োয়া, ওপারে মিনাখাঁ বিধানসভা। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন আগে অর্থাৎ লকডাউনের আগে নদী পারাপারের জন্য যাত্রী পিছু দু' টাকা করে ভাড়া নেওয়া হতো।

খেয়া পারাপার নিয়েও গোষ্ঠী কোন্দল! আচমকা ভাড়া বৃদ্ধিতে গোলমাল বিদ্যাধরীর ঘাটে
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2021 | 11:18 AM

উত্তর ২৪ পরগনা: নদীর বুকে খেয়া পারাপার। তা নিয়েও দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের অভিযোগ উঠল। একদিকে মাঝিরা, অন্যদিকে ভ্যান চালকরা। ঘটনাস্থল বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উত্তাপ ছড়িয়েছে এলাকায়। একে অপরের প্রতি দোষারোপ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নাসিরহাটি ফেরিঘাট এলাকা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হাড়োয়া থানার পুলিশ।

বিদ্যাধরী নদীর এপারে হাড়োয়া, ওপারে মিনাখাঁ বিধানসভা। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন আগে অর্থাৎ লকডাউনের আগে নদী পারাপারের জন্য যাত্রী পিছু দু’ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হতো। এখন সেটা বাড়িয়ে পাঁচ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে ভ্যান চালকদের অভিযোগ, হঠাৎ করে খেয়ার খরচ বেড়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে যাত্রী সংখ্যা কমছে। এর ফলে তাঁরাও যাত্রী পাচ্ছেন না। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাঁদের আয়ও।

এ প্রসঙ্গে ঘাট মালিক শেখ সাহেব আলি বলেন, “ভাড়া বাড়ানো কোনও বিষয় নয়। সম্পূর্ণ লকডাউনের সময় থেকে ফেরিঘাটগুলির অবস্থা খুবই খারাপ। যাত্রী নেই একেবারে। সে কারণে অনেক আগেই ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরে যদিও সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরেও দাঁড়ানো হয়। ভাড়া যা ছিল তাই আছে। তবে এর আগেও এই নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। থানাতেও বসা হয়। ফেরিঘাটটা আমি নেওয়ার পর থেকেই মাঝিদের উপর চোটপাট চালানো হয়। আমি খোঁজ করে জানতে পারি, কিছু অসাধু এই ঘটনাগুলি ঘটাচ্ছে। এদিন একজন হাসপাতালে যাবে বলে খেয়ায় উঠতে চেয়েছিলেন। কিছুতেই উঠতে দেওয়া হল না। বার বার বলা সত্ত্বেও এই ঘটনা। আমি আমাদের নেতৃত্বকে জানিয়েছি সবটা।”

মাঝিদের কথায়, যেহেতু তাঁরা ডিজেল চালিত ইঞ্জিনের নৌকায় নদী পারাপার করেন, তাই ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে এই অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। তাঁরা আরও জানান, এই এতেও তাঁদের সংসার চলে না। অন্যদিকে নিত‍্যযাত্রীদের অভিযোগ, টাকা বাড়ালেও মাঝিরা সময় মতো খেয়া পারাপার করান না।

যদিও এই ঘটনায় রাজনীতির রংও লেগেছে। অভিযোগ উঠছে, ঘাটের লিজ পাওয়াকে কেন্দ্র করে নাসিরহাটির তৃণমূল নেতা শেখ সাহেব আলি ও কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল থেকে নির্বাচিত উপ প্রধান রাকিবুল মোল্লার মধ‍্যে দ্বৈরথ রয়েছে।  রাকিবুল মোল্লার অনুগামীদের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে তাই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। প্রতি বাইক পিছু ২০ টাকা এবং প্রতি জন পিছু ৫ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে খেয়ায়। অথচ প্রতি বাইকে আগে ৫ টাকা নেওয়া হতো। তাই এই বিক্ষোভ। শেখ সাহেব আলি বা রাকিবুল ঘনিষ্ঠরা এতে দলীয় কোন্দলের অভিযোগ মানতে নারাজ। আরও পড়ুন: ‘রাতে মা থাকে না, তখনই এসব করে! ও আমার সৎ বাবা বলেই হয়ত…’ বিস্ফোরক ষষ্ঠের ছাত্রী