Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

CPIM: জেলা কমিটি নির্বাচনে হার খোদ জেলা সম্পাদকের, উত্তর কি দেখাচ্ছে CPIM-এ কোথায় বদল দরকার?

CPIM: দু'জন নাম প্রত্যাহার না করায় এদিন ভোট হয়। আর সেই ভোটাভুটিতে মৃণাল চক্রবর্তীকে হারিয়ে জেলা কমিটিতে জায়গা করে নিলেন সনৎ বিশ্বাস। তবে সৌমেন চক্রবর্তী হেরে গিয়েছেন।

CPIM: জেলা কমিটি নির্বাচনে হার খোদ জেলা সম্পাদকের, উত্তর কি দেখাচ্ছে CPIM-এ কোথায় বদল দরকার?
জেলা কমিটির নির্বাচনে হেরে গেলেন মৃণাল চক্রবর্তী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 16, 2025 | 9:01 PM

বারাসত: ফের জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব পেতে চলেছিলেন। কিন্তু, সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনার জেলা কমিটিতে ভোটাভুটিতে সব কিছু উলটপালট হয়ে গেল। জেলা কমিটিতেই ঠাঁই হল না সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনার বিদায়ী জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তীর। রবিবার জেলা কমিটির নির্বাচনে ভোটাভুটিতে হেরে গেলেন তিনি। এদিকে, এদিন জেলা কমিটি গঠন হলে জেলা সম্পাদক ঠিক করা হয়নি।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনদিন বারাসতে সিপিএমের জেলা সম্মেলন হয়। সেই সম্মেলনের প্রথম দিনই মৃণাল চক্রবর্তীকে সরানোর দাবি তোলেন অনেকে। সম্মেলনের শেষদিন ৭৪ জনের জেলা কমিটির নামের প্যানেল পেশ করা হয়। সেই কমিটি নিয়ে একাধিক এরিয়া কমিটি থেকে আপত্তি ওঠে। আরও বিকল্প ২৭ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়।

এরপর আসরে নেমেছিলেন মানস মুখোপাধ্যায়। তাঁর নাম প্যানেল থেকে প্রত্যাহার করে নেন। মানস মুখোপাধ্যায় সরে দাঁড়ানোয় পরিস্থিতি ঘুরতে শুরু করে। যাঁরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন, তাঁরা নাম প্রত্যাহার করতে শুরু করেন। ২৫ জন নাম প্রত্যাহার করেন। তবে ২ জন নাম প্রত্যাহার করেননি। তাঁরা হলেন মধ্যমগ্রামের সনৎ বিশ্বাস ও রাজারহাট-নিউটাউনের সৌমেন চক্রবর্তী।

এই দু’জন নাম প্রত্যাহার না করায় এদিন ভোট হয়। আর সেই ভোটাভুটিতে মৃণাল চক্রবর্তীকে হারিয়ে জেলা কমিটিতে জায়গা করে নিলেন সনৎ বিশ্বাস। তবে সৌমেন চক্রবর্তী হেরে গিয়েছেন। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, সিপিএমের জেলা কমিটিতে বিদায়ী জেলা সম্পাদক নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন, এমন চিত্র সাম্প্রতিককালে নেই।

এদিন জেলা কমিটি গঠন হলেও জেলা সম্পাদক নির্বাচিত হয়নি। আগামী বুধবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে জেলা সম্পাদক নির্বাচন হবে। এদিন জেলা সম্পাদক নির্বাচন না হওয়া নিয়ে সিপিএমের একটি অংশের ব্যাখ্যা, সময়ের অভাবে এদিন জেলা সম্পাদক নির্বাচিত করা যায়নি। আর একটি অংশের ব্যাখ্যা, দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এই জেলার সম্পাদক নির্বাচনে থাকতে চান। এদিন অন্য কারণে ব্যস্ত থাকায় বারাসতে যেতে পারেননি। তাই বুধবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে জেলা সম্পাদক নির্বাচিত করা হবে।

উত্তর ২৪ পরগনায় মৃণাল চক্রবর্তীর হাতেই জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব রাখতে চেয়েছিল সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু, জেলা সম্মেলনে অধিকাংশ প্রতিনিধির বক্তব্য ছিল, উত্তর ২৪ পরগনা জেলাকে কিছুতেই আন্দোলনমুখী করে তোলা যাচ্ছে না। নির্বাচনের ফল অত্যন্ত খারাপ। জেলা সম্পাদক অসুস্থ থাকেন। সে সময় কার্যকরী জেলা সম্পাদককে দায়িত্ব দিতে হয়। এর ফলে বেশ কিছু জটিলতা তৈরি হয়। এই অবস্থায় জেলা সম্পাদক বদলের প্রয়োজন রয়েছে। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, ভোটাভুটিতে জেলার নেতারা বুঝিয়ে দিলেন, জেলা সম্পাদক বদল প্রয়োজন। এখন মৃণাল চক্রবর্তীর জায়গায় কে জেলা সম্পাদক হন, সেটাই দেখার।