Baranagar: একাদশীর সকালে ড্রেন থেকে উদ্ধার ব্যক্তির মৃতদেহ!

Dead Body recover: পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই ব্যক্তি মদ্যপ ছিলেন। যার কারণে হয়ত হুঁশ ছিল না তাঁর।

Baranagar: একাদশীর সকালে ড্রেন থেকে উদ্ধার ব্যক্তির মৃতদেহ!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু পুলিশকর্মীর (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 16, 2021 | 12:44 PM

বরানগর: সকালবেলায় প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে চক্ষু চড়কগাছ ভ্রমণকারীদের। অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার। তবে ঠিক কী কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে সেই বিষয়ে এখনও জানা যায়নি।

সূত্রের খবর, বরানগরের লেকভিউ পার্ক (Baranagar Lakeview park)। ওই পার্কে রোজই মতোই প্রাত:ভ্রমণে বেরোন ভ্রমণকারীরা। আজও অন্যথা হয়নি। কিন্তু একাদশীর সকালে ভ্রমণে বেরিয়ে একটি মৃতদেহ দেখতে হতে পারে সেই কথা হয়ত স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি এলাকাবাসী। ভোরবেলা মৃতদেহ দেখার পর কিছুটা হতভম্ব হয়ে পড়ে এলাকাবাসী। এরপর আর দেরি না করে সোজা খবর দেওয়া হয় পুলিশে। বরানগর থানার পুলিশ এসে ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে সেটি সাগর দত্ত হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই ব্যক্তি মদ্যপ ছিলেন। যার কারণে হয়ত হুঁশ ছিল না তাঁর। মদ্যপ অবস্থায় কোনও ভাবে হয়ত ড্রেনে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তার।

এখনও পর্যন্ত ব্যক্তির নাম পরিচয় জানা যায়নি। পাশাপাশি তাকে খুন করা হয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, এর আগে অর্থাৎ দশমীর দিন বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দুই মহিলার দেহ। তাঁদের মধ্যে এখজন বেঁচে থাকলেও অপরজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঘটনাস্থান উলুবেড়িয়ার নোনা (Nona) এলাকা। পরিবার সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম স্বপ্না চন্দ্র (Sapna Chandra)। পেশায় তিনি উলুবেড়িয়া হাসপাতালের (Uluberia Hospital) নার্স ছিলেন। অভিযোগ, স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে স্বপ্নাদেবী আলাদা বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। স্বামীর সঙ্গে বর্তমানে তাঁর ডির্ভোসের মামলা চলছিল। ওই একই বাড়িতে স্বপ্নাদেবীর সঙ্গে থাকতেন তাঁর বৃদ্ধা শাশুড়ি মীরা চন্দ্র ।

জানা গিয়েছে, স্বপ্না দেবীর এক ছেলে ও এক মেয়ে । মেয়েটি আগেই মারা যায়। এদিকে ছেলের বাজারে বিশাল অঙ্কের দেনা করায় বাড়িতে প্রায় অনেক বছর ধরেই থাকে না।

দিদির খোঁজ নেওয়ার জন্য প্রায় প্রতিদিনই স্বপ্না চন্দ্রের ভাই (Brother) তাঁকে ফোন করতেন। গতকালও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু একাধিকবার ফোন করেও মেলেনি কোনও উত্তর। এরপরই সন্দেহ হয় তাঁর। পুরো বিষয়টি তিনি জানান প্রতিবেশীকে। পাশের বাড়ির বাসিন্দারা এসে অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরও কোনও সাড়া শব্দ না পাওয়ায় তারা উলুবেড়িয়া থানার পুলিশকে (Uluberia police station) খবর দেয়। পুলিশ (Police) ঘটনাস্থানে এসে দরজা ভেঙে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে স্বপ্না দেবী। অন্যদিকে মীরা চন্দ্র বেঁচে থাকলেও তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তৎক্ষনাত তাঁকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে (Uluberia Hospital) ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে শুয়েই পরে মীরা চন্দ্র (Mira Chandra) পুলিশকে (Police) জানায়, ভিতরে কয়েকজন অপরিচিত লোক ঢুকেছিলেন তাদেরকে ঠিক চিনতে পারেননি তিনি। তারপরই এই ধরনের ঘটনা। আর বিশেষ কিছুই বলতে পারেননি ওই বৃদ্ধা।

আরও পড়ুন: Wife murders Husband: ‘ও বালিশ চাপা দিয়েছিল, আমি পা দুটো ধরে ছিলাম’, পরকীয়ার জেরেই খুন স্বামী!