Minor Rape: গলির মুখে দাঁড়িয়ে ছিল পাড়ার ‘দাদারা’, ডাকে সাড়া দিতেই বিপদে দশম শ্রেণির ছাত্রী

উত্তর ২৪ পরগনা: বাবার মৃত্যু হয়েছে। মা কোনওভাবে দর্জির কাছ থেকে কাপড় এনে সেলাই করে সংসার চালান। সেই কাজেই দর্জির দোকানে গিয়েছিল দশম শ্রেণির ছাত্র। ফেরার পথে অন্ধকার নেমে এসেছিল। গ্রামের রাস্তা এমনিতেই শুনশান। সেখানেই ওঁত পেতে বসেছিল পাড়ার ‘দাদারা’। রাস্তা থেকে টানতে টানতে পুকুর পাড়ের ধারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। এরপর একে একে নৃশংস, […]

Minor Rape: গলির মুখে দাঁড়িয়ে ছিল পাড়ার 'দাদারা', ডাকে সাড়া দিতেই বিপদে দশম শ্রেণির ছাত্রী
দেগঙ্গায় গণধর্ষণের শিকার নাবালিকা (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2021 | 6:03 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: বাবার মৃত্যু হয়েছে। মা কোনওভাবে দর্জির কাছ থেকে কাপড় এনে সেলাই করে সংসার চালান। সেই কাজেই দর্জির দোকানে গিয়েছিল দশম শ্রেণির ছাত্র। ফেরার পথে অন্ধকার নেমে এসেছিল। গ্রামের রাস্তা এমনিতেই শুনশান। সেখানেই ওঁত পেতে বসেছিল পাড়ার ‘দাদারা’। রাস্তা থেকে টানতে টানতে পুকুর পাড়ের ধারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। এরপর একে একে নৃশংস, নারকীয়ভাবে ভোগ করা হয়েছে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে। পর সেখানেই ফেলে রাখা হয় তাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় টলমল পা একাই বাড়ি ফিরেছিল সাহসী মেয়ে! আবারও গণধর্ষণের (Deganga Gangrape) মতো ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত তৈরি করল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা। ঘটনায় আপাতত অভিযুক্ত এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। অভিযুক্তও নাবালক।

নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, তাঁর মায়ের পাওনা টাকা আনতে দর্জির বাড়িতে গিয়েছিল সে। তার বাবা নেই। এই টাকাতেই কোনওভাবে সংসার চলে। সঙ্গে পড়াশোনা। দর্জির বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বাড়িতে ফিরছিল। সেই সময় অভিযুক্ত রাহান সর্দার, মুস্তাকিন মন্ডল ও এক নাবালক তাকে পার্শ্ববর্তী হালোখোলার আমবাগানে পুকুরের ধারে নিয়ে যায়। কার্যত টানতে টানতেই নিয়ে যায় তাদের।

অভিযোগ, এরপর পুকুর পাড়েই ঝোঁপের মধ্যে দফায় দফায় গণধর্ষণ করা হয় তাকে। এরপর অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। অত্যাচারের পর রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে পৌঁছয় ওই নবালিকা ছাত্রী।

এরপর তাঁর আত্মীয় এক দিদিকে বিষয়টি জানায়। নির্যাতিতার পরিবার সোহাই শ্বেতপুর পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করে। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেগঙ্গার এসডিপিও সৌমজিৎ বড়ুয়া আইসি অজয় কুমার সিংহ।

নির্যাতিতার কথায়, “বেশি রাত হওয়ার আগেই বাড়ি ফিরে আসছিলাম। সন্ধ্যা তখন সবে। গ্রামেরই রাস্তায় এই ভাবে আমার সঙ্গে এমনটা হয়ে যাবে, কখনই ভাবিনি। অপরাধীদের এমন শাস্তি হোক, যাতে বাকিদের ভয়ে শিড়দাঁড়া কাঁপে।”

নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত পনেরো বছরের নাবালক রাহান সর্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরেক অভিযুক্ত মুস্তাকিন মন্ডল ঘটনার পর থেকে পলাতক। আর এই ধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মুস্তাকিন মন্ডল পলাতক।

রাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই অপরাধীদের সম্পর্কে সূত্র পাওয়া যাচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। রাতেই নির্যাতিতাকে দেগঙ্গা থানার পুলিশ উদ্ধার করে বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা স্থিতিশীল। এই গণধর্ষণের ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির পক্সো আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই ওই এলাকায় গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। এরই মধ্যে পরপর দুটি গণধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকায় পুলিশ প্রহরা বসানোর দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে চেয়ে আজ বারাসাত জেলা আদালতে পাঠানো হবে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন নাবালক। তার থেকে বাকিদের সূত্র পাওয়া যাচ্ছে। বাকি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।

আরও পড়ুন: ছেলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে সন্ধিহান ছিলেন, বন্ধ ঘরে মায়ের অবস্থায় স্থবির প্রতিবেশীরা

আরও পড়ুন: লালবাতি গাড়িতে ‘ডিএসপির’ মদের ঠেক! উর্দিতে ৩টে স্টার, বুকে নেমপ্লেট…ঝুলি থেকে বেরল বেড়াল!