নীলবাতি গাড়িতে ‘ডিএসপির’ মদের ঠেক! উর্দিতে ৩টে স্টার, বুকে নেমপ্লেট…ঝুলি থেকে বেরল বেড়াল!

Fake DSP: রাত তখম প্রায় সাড়ে ১১টা। একটা লালবাতি গাড়ি দাঁড়িয়ে রাস্তায়। একটু এগোতেই দেখা গেল দু'জন সঙ্গীকে নিয়ে গাড়ির ভেতরে মদ্যপান করছেন এক উর্দি পরা এক যুবক।

নীলবাতি গাড়িতে 'ডিএসপির' মদের ঠেক! উর্দিতে ৩টে স্টার, বুকে নেমপ্লেট...ঝুলি থেকে বেরল বেড়াল!
লালবাতি গড়িতেই ভুয়ো ডিএসপি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2021 | 1:53 PM

হুগলি: রাত তখম প্রায় সাড়ে ১১টা। একটা নীলবাতি গাড়ি দাঁড়িয়ে রাস্তায়। একটু এগোতেই দেখা গেল দু’জন সঙ্গীকে নিয়ে গাড়ির ভেতরে মদ্যপান করছেন এক উর্দি পরা এক যুবক। পরিচয় জানতে চাওয়া হলে নিজেকে ডিএসপি বলে পরিচয় দেন তিনি। এক মুহূর্তের জন্য সম্ভ্রম জাগে পুলিশ কর্মীদের। কিন্তু মাঝরাতে এভাবে রাস্তায় বসে ‘পার্টি’ করবেন পুলিশ অফিসার। পুলিশ জেঁকে ধরতেই ভাঙল ভুল। ধরা পড়ল ফের এক ভুয়ো পুলিশ অফিসার। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগরে।

এবার ভুয়ো ডিএসপি ধরা পরল চন্দননগরে। ধৃতের নাম সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী। জানা গিয়েছে তাঁর বাড়ি হুগলির চন্দননগরের বক্সি গলিতে। পুলিশ সূত্রে খবর, রাত ১১ টা ১৫ নাগাদ চন্দননগর স্ট্যান্ড রোডে রানিঘাটের কাছে একটি সাদা স্করপিও গাড়িকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পুলিশ। গাড়িটির নম্বর WB 19J 7988, তাতে আবার নীলবাতি ও হুটার লাগানো ছিল। সামনে গভর্নমেন্ট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল-এর স্টিকার লাগানো ছিল। গাড়িটি দেখেই সন্দেহ হয় পুলিশের।

রানিঘাট থাকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে চন্দননগর থানা। পুলিশ গিয়ে গাড়িটিকে আটক করে। গাড়ির মধ্যে পুলিশের পোশাক পড়া একজনকে বসে থাকতে দেখা যায়। জিজ্ঞাসা করলে তিনি নিজেকে ডিএসপি পরিচয় দিয়ে প্রথমে পুলিশ অফিসারদেরল ধমকানো চমকানোর চেষ্টা করেন। আবার তাঁর উর্দির কাঁধ বরাবর তিনটে স্টার দেখে এক মুহূর্তের জন্য ওই পুলিশ কর্মীরাও ভেবে নিয়েছিলেন তিনি সত্যিই অফিসার। তার পর যুবকের বুকে নেমপ্লেট লাগানো আছে। যা দেখে সন্দেহের কোনও অবকাশই থাকতে পারে না।

তবে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে যেতেই ‘ডিএসপি’-র মুখ থেকে তীব্র অ্যালকোহলের গন্ধ পান পুলিশকর্মীরা। রাস্তার মাঝখানে গাড়ি রেখে মদ্যপান করছেন দুই সঙ্গীর সঙ্গে। এতেই সন্দেহ দানা বাঁধে পুলিশের। একজন ডিএসপি এত রাতে স্ট্যান্ডে মদ্যপান করছেন, আবার সঙ্গে দু’জন সঙ্গী নিয়ে! তাঁকে থানায় নিয়ে গিয়ে জেরা করতেই বেরিয়ে এল আসল সত্য।

চন্দনগর পুলিশ জানিয়েছে, বক্সি গলির বাসিন্দা বছর ত্রিশের সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী আগে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টটেটিভ-এর কাজ করতেন। এক সময় গাড়িও চালিয়েছেন। সেই সুবাদে জেলা প্রশাসনের গাড়ি চালান তিনি। কয়েকজন পুলিশ অফিসারের সঙ্গে তাঁর আলাপও রয়েছে। তবে বর্তমানে কাজকর্ম কিছুই করেন না। শুধু ডিএসপি সেজে ঘুরে বেড়ান। চন্দননগর পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। এদিন তাকে চন্দননগর আদালতে তোলা হয় তাঁকে।

সেই কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড থেকে শুরু। ধৃত ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই একের পর এক ভুয়ো সিবিআই অফিসার, ভুয়ো আইনজীবী, ভুয়ো মানবাধিকার কর্মী এমনকী ভুয়ো বিচারক পর্যন্ত গ্রেফতার হয়। এবার হুগলিতে ধরা পড়ল ভুয়ো ডিএসপি।

আরও পড়ুন: ‘তুমি সুন্দরী, আমাদের সঙ্গে গেলে অনেক টাকা রোজগার করতে পারবে’, টোপ গিললেই ঠিকানা অন্ধকার গলি