Bangladeshi Citizens: কোলে বাচ্চা নিয়ে অবৈধ সীমান্ত-প্রবেশ! ফের স্বরূপনগরে পাকড়াও পাঁচ বাংলাদেশি
Basirhat: বিএসএফ ধৃতদের স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা যশোরের বাসিন্দা।
উত্তর ২৪ পরগনা: অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ। তাও আবার দালালের হাত ধরে। হাতেনাতে চার বাংলাদেশি (Bangladeshi Citizen) মহিলা, এক ভারতীয় দালাল-সহ মোট ছ’জনকে আটক করল বিএসএফ। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানার ভারত-বাংলাদেশ হাকিমপুর সীমান্তে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা শনিবার ভোরে টহল দিচ্ছিলেন। সেই সময় পাঁচজন বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বাংলাদেশ থেকে এদেশে ঢুকে পড়েন। সঙ্গে একজন ভারতীয়ও ছিলেন। সেই সময়ই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা তাঁদের হাতেনাতে পাকড়াও করে। প্রত্যেককেই স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ধৃতদের শনিবারই আদালতে তোলা হবে।
শনিবার ভোরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে এ দেশে প্রবেশ করে চার মহিলা, এক শিশু। সেই সময় ১১২ নম্বর ব্যাটালিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা রুটিন পাহারায় ছিলেন। তাঁরাই পাঁচজনকে আটকায়। এরপরই দেখা যায় তাঁদের সঙ্গে এক ভারতীয়ও রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, ওই যুবক দালাল। উত্তর ২৪ পরগনা এলাকার গোবরডাঙা থানা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর সহযোগিতাতেই এই অনুপ্রবেশ হচ্ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
বাংলাদেশি ধৃতদের প্রত্যেকের বাড়ি যশোর জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায়। সকলকেই স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এর পিছনে অন্য কোনও বড় দালাল চক্র রয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গত তিন দিনে মোট ১৬ জন বাংলাদেশিকে হাতেনাতে ধরল বিএসএফ ও পুলিশ। এদিন ধৃতদের বসিরহাট আদালতে তোলা হবে।
এর আগে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহেই এই হাকিমপুর সীমান্ত থেকে চার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের মধ্যে মহিলাও ছিলেন। কোনও রকম বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে ঢোকেন তাঁরা। স্বরূপনগর থানার পুলিশ জানিয়েছিল, ধৃতরা বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ, সাতক্ষীরা ও ঢাকার বাসিন্দা।
এর আগে জুলাই মাসেও স্বরূপনগর সীমান্তে চার মহিলা সহ নয় বাংলাদেশি গ্রেফতার হয়। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানার বিথারি-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ তারালি সীমান্তে সন্দেহজনকভাবে ন’ জনকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল।
সেই সময় টহলরত ১১২ নম্বর ব্যাটালিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা তাঁদের আটকে প্রশ্ন করেন। কথায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তল্লাশির পর বিএসএফ দেখে তাঁরা বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে ঢুকেছেন। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা ওই বাংলাদেশিদের আটক করে স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এই ন’জনের বাড়ি ছিল যশোর ও খুলনা জেলার বিভিন্ন গ্রামে।
তবে শনিবার ভারতীয় এক দালালও পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। এর পরই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি কোনও বড় চক্র এই বাংলাদেশিদের অবৈধ পারাপারে যুক্ত। সম্প্রতি কলকাতার হরিদেবপুর থেকে জেএমবি মডিউল এসটিএফের হাতে আসে। তাদের লিঙ্কম্যান হিসাবে উঠে আসে লালু ওরফে রাহুল সেন নামে এক যুবকের নাম। লালু জঙ্গিদের লজিস্টিক সাপোর্ট দিত।
সীমান্ত এলাকায় বেশ সক্রিয় নাম লালু। সীমান্তের পরিভাষায়, লালু মূলত ‘ধূরের’ কাজ করত। এই ‘ধূর’ নথি ছাড়াই মানুষকে এপার থেকে ওপার পৌঁছে দেওয়া বা সীমান্ত পেরিয়ে বিভিন্ন জিনিসের আদানপ্রদান করে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, লালুর মতো এরকম অনেক ‘ধূর’ সীমান্তে সক্রিয়। গোবরডাঙার ওই ব্যক্তিকে জেরা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: WB Flood Situation: বৃষ্টি থেমেছে, জল ছাড়ার পরিমাণও কিছুটা কমাল দুর্গাপুর ব্যারেজ