‘এত নোংরা.. নোংরামির একটা লিমিট আছে’, হোয়াটসঅ্যাপে আসছে এমন ছবি, মুখেও আনতে পারছেন না প্রধান শিক্ষিকা

Barasat School: বেশ কিছুদিন আগে ওই প্রধান শিক্ষিকা স্কুলের ছাত্রীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট রাখতে নিষেধ করেছিলেন। ফলে ওই স্কুলের সমস্ত ছাত্রীরা তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়। প্রধান শিক্ষিকার দাবি, ওই নির্দেশ দেওয়ার পর অনেক ছাত্রীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা তাঁকে নানাভাবে গালাগালি দেয়।

'এত নোংরা.. নোংরামির একটা লিমিট আছে', হোয়াটসঅ্যাপে আসছে এমন ছবি, মুখেও আনতে পারছেন না প্রধান শিক্ষিকা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 28, 2024 | 4:27 PM

বারাসত: প্রধান শিক্ষিকার ফোনে আসছে একের পর এক অশ্লীল ছবি। হোয়াটসঅ্যাপ খুলেই চমকে গেলেন তিনি। সেই সব ছবিতে যাঁদের মুখ দেখা যাচ্ছে, তাঁরা স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্রী। একবার নয়, বারবার এমন ছবি আসছে দেখে শেষ পর্যন্ত থানার দ্বারস্থ হয়েছেন বারাসত কালী কৃষ্ণ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী সেনগুপ্ত। তিনি জানিয়েছেন, স্কুলের বদনাম করার জন্য কেউ বা কারা এই কাজ করে থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার দিনভর ওই শিক্ষিকার ফোনে একাধিক নম্বর থেকে অশ্লীল ছবি আসতে থাকে। প্রাক্তন ছাত্রীদের ছবি দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন তিনি। প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ, ছবির সঙ্গে তাঁর কাছে টাকাও চাওয়া হয়। যে নম্বর থেকে ফোন এসেছে সেটা ট্রু কলারে ফেললে দেখাচ্ছে ‘পাকিস্তান’।

মৌসুমী সেনগুপ্ত বলেন, “নোংরামোর একটা লিমিট থাকে। এত নোংরা… এত নোংরা, যে আমার ওই নম্বরে ফোন করতে ইচ্ছা করেনি। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে একজনের মাথার ছবি কেটে বসানো। প্রাক্তন ছাত্রীদের এত ভালগার ছবি দেখে খারাপ লাগছে। তবে আমি ভয় পাই না।” কী আছে সেই ছবিতে, তা মুখেও আনতে পারছেন না প্রধান শিক্ষিকা।

বেশ কিছুদিন আগে ওই প্রধান শিক্ষিকা স্কুলের ছাত্রীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট রাখতে নিষেধ করেছিলেন। ফলে ওই স্কুলের সমস্ত ছাত্রীরা তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়। প্রধান শিক্ষিকার দাবি, ওই নির্দেশ দেওয়ার পর অনেক ছাত্রীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা তাঁকে নানাভাবে গালাগালি দেয়। তারাই এই কাজ করছে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ আছে প্রধান শিক্ষিকার। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রধান শিক্ষিকা চান, এই ছবিগুলো কারা পাঠাচ্ছে, তা খুঁজে বের করে দিক পুলিশ।