Duttapukur Local: গুজবের জেরে এখনও সন্তানকে কোলে পেলেন না, শোকে পাথর দত্তপুকুর লোকালের সেই মহিলা ও তাঁর স্বামী

Duttapukur Local: গত বুধবার সকাল ৮.৪০ মিনিটের শিয়ালদহগামী  দত্তপুকুর লোকালে একটি ভয়ঙ্কর অভিযোগ ওঠে। যা ঘিরে সকাল থেকে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল বিরাটি স্টেশন। অভিযোগ ওঠে, মহিলা কামরায় এক মহিলা একটি শিশু ব্যাগে পুরে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

Duttapukur Local: গুজবের জেরে এখনও সন্তানকে কোলে পেলেন  না, শোকে পাথর দত্তপুকুর লোকালের সেই মহিলা ও তাঁর স্বামী
দত্তপুকুর লোকালের সেই মহিলাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 28, 2024 | 4:18 PM

বারাসত: নিতান্ত একটা গুজব। একটা সন্দেহ। আর সে কারণে একজন মাকে হেনস্থা হতে হয়েছে, দুধের বাচ্চা এখন তাঁর কোল ছাড়া। নিজের সন্তানকেই চুরি করার অভিযোগ উঠেছে। যেভাবে হেনস্থা হতে হয়েছে তাঁকে, তার ঘোর কাটেনি এখনও। কিন্তু শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন। কারণ এখনও সন্তানকে কোলে পাননি তিনি। ঘটনার পর রেল পুলিশ ছ’মাসের ওই শিশুকে CWC-তে পাঠিয়েছে। পর্যাপ্ত প্রমাণপত্র দেখিয়ে স্ত্রীকে রেলবস্তিতে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন তাঁর স্বামী। কিন্তু আইনি জটিলতায় সন্তানকে এখনও ফিরে পাননি বিহারের বাসিন্দা রামেশ্বর পাণ্ডে। কবে আইনি জটিলতা কাটিয়ে তিনি তাঁর সন্তানকে ফিরে পাবেন, আশঙ্কায় প্রহর কাটাচ্ছেন। আর তাঁর স্ত্রী বাসন্তী দেবী এখনও কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই।  রামেশ্বর বললেন, “আমার কিচ্ছু বলার নেই আর। এখন শুধুই সন্তানকে ফিরে পেতে চাই। শিক্ষিত লোকেরাই তো এ কাজ করল, আমাদের মতো অশিক্ষিতদের সঙ্গে। তাহলে আর কী বলার আছে? ”

গত বুধবার সকাল ৮.৪০ মিনিটের শিয়ালদহগামী  দত্তপুকুর লোকালে একটি ভয়ঙ্কর অভিযোগ ওঠে। যা ঘিরে সকাল থেকে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল বিরাটি স্টেশন। অভিযোগ ওঠে, মহিলা কামরায় এক মহিলা একটি শিশু ব্যাগে পুরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিক্ষোভকারীরা প্রথম দাবি করতে থাকেন, ব্যাগের ভিতর বাচ্চাটা ছিল। ব্যাগটা হঠাৎই নাড়াচাড়া করতে দেখে সন্দেহ হয়। প্রথমে মহিলাকে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু সঠিকভাবে তিনি উত্তর দিতে পারেননি। এরপরই মহিলা কামরায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মহিলাকে যথেচ্ছ নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোদ। রেল অবরোধ করে দীর্ঘক্ষণ চলতে থাকে বিক্ষোভ। সামাজিক মাধ্যমে ছেয়ে যায় এই গুজব।

মধ্যরাতে রেল পুলিশের কাছে ফোন আসে রামেশ্বর পাণ্ডে। তিনি বিহারের বাসিন্দা। কয়েক মাস আগে বামনগাছির রেলবস্তিতে এসে থাকা শুরু করেছিলেন। কর্মসূত্রে বিহারে ছিলেন রামেশ্বর। সন্তানকে নিয়ে রেলবস্তিতে ছিলেন বাসন্তী। তাঁর স্ত্রী মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। তিনি দাবি করেন, ওই শিশু তাঁরই সন্তান। রেল পুলিশের কাছে গিয়ে হাসপাতালের ডিসচার্জ সার্টিফিকেট-সহ পর্যাপ্ত প্রমাণ দেখিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে আসেন রামেশ্বর। কিন্তু সন্তান এথনও CWC।