Couple Suicide: মামার বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল মায়ের, সকালে চোখ খুলেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখল দুই ভাই-বোন

Couple Suicide: অভাবের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

Couple Suicide: মামার বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল মায়ের, সকালে চোখ খুলেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখল দুই ভাই-বোন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 27, 2022 | 3:16 PM

বসিরহাট: অভাব ছিল ঠিকই, তবু সংসার চলে যেত কোনও মতে। স্বামী অন্ধ বলেই কাজ করে চারটে পেট চালাতে হল উষাকে। নিজেরটুকু না জুটুক দুই সন্তান আর স্বামীর জন্য কাজে বেরতে হত তাঁকে। তাঁদের অবস্থা দেখে সাহায্য়ের জন্য এগিয়ে আসতেন আত্মীয়রা। কিন্তু কতদিন আর অন্যের ওপর ভরসা করে দিন গুজরান করা যায়! তাই শেষ মুহূর্তে হয়ত সন্তানদের কথাও ভাবেননি তাঁরা। শুক্রবার সকালেই বাপের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল উষার। কিন্তু, সকালে উঠে তাঁর দুই নাবালক সন্তান দেখল, বাবা- মা দুজনেই ফ্যান থেকে ঝুলছে।

ঘুম থেকে উঠে প্রথমে বুঝেই উঠতে পারেনি তারা, যে ঠিক কী হয়েছে। পরে ৯ বছরের রিয়া আর ৫ বছরের ঋজুর চীৎকারে ছুটে আসেন আত্মীয়রা। দরজা খুলে দেখেন আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী-স্ত্রী, শঙ্কর ঋষি দাস ও ঊষা ঋষি দাস। বসিরহাটের হাসনাবাদ থানার ভবানীপুর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইছাপুর গ্রামের ঘটনা। জানা গিয়েছে, কোনও রকমভাবে লোকের জমিতে কাজ করে দিন গুজরান করত ওই পরিবার। অভাব আর অর্থ সঙ্কট ছিল দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী। একেবারে নুন আনতে পান্তা ফোরানোর মতো অবস্থা হয়েছিল সম্প্রতি। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে  বচসা হত বলেও জানা গিয়েছে। ঠিকমতো সংসার চলছিল না। তাই সম্ভবত শেষ পরিণতি মৃত্যু। দেখা যায়, একতলা ঘরের সিলিং ফ্যানে একদিকে ঝুলছেন স্ত্রী আর অন্যদিকে স্ত্রী-র শাড়ি গলায় জড়িয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। আর বিছানায় শুয়ে ছিল রয়েছে দুই সন্তান।

স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে এসে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পিছনে শুধুই কি অভাব? পারিবারিক গণ্ডগোল না অন্য কোনও ঘটনা? তদন্ত করে দেখছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। তদন্তকারীরা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে। আগে স্বামী আত্মঘাতী হয়েছে না স্ত্রী? তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যাবে। এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, ওই পরিবারের অভাবের কথা সবাই জানতেন। তাঁদের অর্থ সাহায্যও করা হত। শুক্রবার বাপের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল ঊষার। আর তার আগেই ঘটে যায় এই ঘটনা।