ফোনে যোগাযোগ রাখলেও কোথায় আছে জানতে পারেনি পরিবার! এ এক অদ্ভূত ‘নিখোঁজ’ কাহিনী যুবকের
বাগদা (Bagdah) থানার পুলিশ টহলদারি করার সময় আমডোব এলাকায় এক মানসিক ভারসাম্যহীনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে।
উত্তর ২৪ পরগনা: প্রায় পাঁচ মাস যাবৎ ‘নিখোঁজ’ (Missing)। হিল্লি-দিল্লি থেকে বাড়িতে ফোন করতেন মাঝে মধ্যে। ব্যস! আবার টানা কয়েক দিন কোনও খোঁজ নেই। পরিবার বলছে, ল্যান্ডলাইন নম্বর, তাই যোগাযোগ না করলে খবর পাওয়ার আর কোনও রাস্তাও নেই। অবশেষে বাগদা পুলিশের সহযোগিতায় পরিবার ফিরে পেল মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবককে।
বাগদা থানার পুলিশ টহলদারি করার সময় আমডোব এলাকায় এক মানসিক ভারসাম্যহীনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে। এরপরই তারা এগিয়ে গিয়ে কথা বলে। কথায় কথায় ওই যুবক জানান, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর থানার নগেন্দ্রগঞ্জে তাঁর বাড়ি। এরপরই বাগদা থানা থেকে ফোন যায় সাগরে। ওই যুবকের বাড়িতে যোগাযোগ করা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁর পরিবারের লোকজন বাগদায় আসেন।
তাঁরাই জানান, ওই যুবকের নাম শেখ হাসানুর আলম। ২৮ বছর বয়স। তাঁর একটি পাঁচ বছরের মেয়ে, তিন বছরের ছেলে রয়েছে। মাস পাঁচেক আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান হাসানুর। দিল্লি এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে তিনি বাড়িতে ফোন করতেন বলে জানান তাঁর শ্বশুর আলিমুদ্দিন শেখ।
আরও পড়ুন: বাঁধ ভেঙে ভাসিয়েছে গ্রাম, সেই ভাঙা বাঁধেই ঘর বেঁধেছেন তুষখালির সুবলারা
আলিমুদ্দিন শেখের কথায়, ” চার পাঁচ মাস ধরে বাড়ি ছাড়া। ফোন করে কিন্তু কোথায় আছে জানতে পারি না। মাঝেমধ্যে খেয়াল থাকলে নিজের কথা সবই বলতে পারে। আবার কখনও কখনও কিছু মনে করতে পারে না। এরই মধ্যে চার পাঁচ আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। কিছুতেই কোথায় আছে বুঝতে পারছিলাম না। বাগদা থানা থেকে সাগরে যোগাযোগ করে। সেখান থেকে মেয়ের বাড়িতে খবর যায়। এই নিতে এলাম।” মুখ ভর্তি দাড়ি, চুলে জট পড়ে গিয়েছে, চেহারাও একেবারে মলিন —চোখে মুখে অযত্নের ছাপ। এত কিছুর মধ্যে থেকে থেকেই হেসে উঠছে।