Dengue Cases: হাসপাতালে-হাসপাতালে দীর্ঘায়িত হচ্ছে লাইন, ডেঙ্গু চোখ রাঙাচ্ছে সীমান্তে
North 24 pargana: জেলার একগুচ্ছ হাসপাতাল স্বাস্থ্য দপ্তরের আতশকাচের তলায়। যেমন সীমান্ত এলাকার স্বরূপনগর ব্লকের শাঁড়াপুর গ্রামীণ হাসপাতাল।
উত্তর ২৪ পরগনা: ক্রমশ চওড়া হচ্ছে ডেঙ্গুর থাবা। একাধিক গ্রামের শতাধিক মানুষ কাঁপছে জ্বরে। দিন যত গড়াচ্ছে ততই দীর্ঘায়িত হচ্ছে হাসপাতালের বহির্বিভাগের লাইন। আবার হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বাড়ছে রোগী ভর্তির সংখ্যা। বসিরহাট মহকুমার সীমান্ত থেকে সুন্দরবন, কার্যত আতঙ্কের প্রহর গুনছে উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা।
জেলার একগুচ্ছ হাসপাতাল স্বাস্থ্য দপ্তরের আতশকাচের তলায়। যেমন সীমান্ত এলাকার স্বরূপনগর ব্লকের শাঁড়াপুর গ্রামীণ হাসপাতাল। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে একাধিক রোগি ভর্তির খবর মিলেছে সেখান থেকে। একই পরিস্থিতি সন্দেশখালি ১নং ব্লকের ঘোষপুর হাসপাতালেও। অন্দর থেকে বহির্বিভাগ, আক্রান্তদের লাইন কপালে ভাঁজ ফেলেছে কর্তাদের। পুজোর আগে মশাবাহিত রোগের এই বাড় বাড়ন্ত নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করেছে প্রশাসনিক কর্তাদের। করা হাতে ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত ও পৌরসভাগুলিকে। স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিটি পাড়ায় ও গ্রামে গিয়ে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের রক্ত ও অ্যালাইজা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নথিবদ্ধ করা হচ্ছে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের নাম সহ বিস্তারিত বিবরণ।
শাঁড়াপুল গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক সঞ্জয় পাত্র বলেন, ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই মতো পদক্ষেপ করা হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সতর্ক করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে বাড়ি বাড়ি লিফলেট বিলির কাজ চলছে। মশারি খাঁটিয়ে ঘুমানোর প্রয়োজনীয়তা বোঝানো হচ্ছে গ্রামবাসীদের। অ্যালাইজা টেস্টের জন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকাভিত্তিক কাজ করছে। তবে ডেঙ্গি ছাড়াও ঋতু পরিবর্তনের জন্য যাতে কেউ আক্রান্ত না হন সেই বার্তাও দেওয়া হচ্ছে।’
এ দিকে ডেঙ্গির বাড় বাড়ন্ত নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘যেহেতু সামনে দুর্গাপূজা তাই সমস্ত ক্লাব এবং সংগঠনগুলিকে ডেঙ্গি সচেতনতা বৃদ্ধির বার্তা সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে। পূজা মণ্ডপের আশেপাশে যাতে বড়-বড় ফেস্টুন ও ব্যানার লাগানো হয় তার আবেদন করেছে প্রশাসন। ওটা পরিস্থিতির ওপর জেলা প্রশাসন নজর রাখছে। দ্রুত আমরা এই সমস্যা থেকে মুক্ত হব বলে বিশ্বাস।’