সন্ধ্যা থেকেই ব্যাপক বোমাবাজি, ফের উত্তপ্ত অর্জুন-গড়
ফের জগদ্দলে (Jagatddal) বোমাবাজি। সোমবার রাতে জগদ্দলের রুস্তম গুমটি এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ।
উত্তর ২৪ পরগনা: ফের জগদ্দলে (Jagatddal) বোমাবাজি। সোমবার রাতে জগদ্দলের রুস্তম গুমটি এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। দুস্কতীরা ১৫-১৬ টি বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাসিন্দারা ঘরের দরজা জানলা বন্ধ করে দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জগদ্দল থানার পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় বিশাল র্যাফ। যদিও বোমা মারার ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
উল্লেখ্য, ক’দিন আগেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাটপাড়া এলাকা। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি। আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। তাঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ভোট উত্তরোত্তর সময় থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাটপাড়া। শনিবার রাতে ভাটপাড়ার বারুইপাড়া এলাকায় ফের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি চলতে থাকে। স্থানীয়দের কথায়, রাত এগারোটার পর থেকে মুড়িমুড়কির মতো এলাকায় বোমা পড়তে থাকে।
এলাকারই দুটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। বেপরোয়া ভাঙচুর চলে পরপর বেশ কয়েকটি বাড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। নামানো হয় র্যাফ। বোমাবাজিতে গুরুতর আহন হন জাভেদ খান নামে বছর পঁয়ত্রিশের এক যুবক।
গত সপ্তাহেই জগদ্দলে অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) বাড়ির সামনে বোমাবাজি হয়। পুলিশের সামনেই অর্জুন সিং অভিযোগ করেন, তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে। নিজের লোকসভা এলাকায় সাতটি বিধানসভাতেই জয়ের টার্গেট করেছিলেন অর্জুন। আত্মবিশ্বাসের সুর লক্ষ্য করা গিয়েছে গণনার আগের দিন পর্যন্তও। কিন্তু দিনের শেষে হাতে ছিল শুধু ভাটপাড়া আর জগদ্দল। বাকি ৫টি বিধানসভাই তাঁর হাতছাড়া হয়েছে। সবুজ আবিরে কার্যত ধূলিসাৎ বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের গড়।
বীজপুরেও হেরে গিয়েছেন মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায়। বারাকপুর, আমডাঙা, নৈহাটি, বীজপুরে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। এমনকি নোয়াপাড়াও হাতছাড়া অর্জুনের। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা।