Nusrat Jahan: প্রতারণা-কাণ্ডে ED-র নোটিস, মুখ খুললেন নুসরত জাহান
Nusrat Jahan: কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার অভিনেত্রী তথা সাংসদকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে।
কলকাতা: প্রতারণা-কাণ্ডে নাম জড়ানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘এমন কিছু করিনি, আর করবও না।’ দুর্নীতির সঙ্গে যোগের কোনও প্রমাণ করা যাবে না বলে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। এবার সেই মামলাতেই সাংসদকে নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে TV9 বাংলাকে নুসরত জানিয়েছেন, নোটিস পেলে অবশ্যই সহযোগিতা করবেন। তবে সকাল থেকে কাজে ব্যস্ত ছিলেন, তাই নোটিস পেয়েছেন কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন তিনি।
কয়েক কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় নাম জড়িয়েছে নুসরতের। অভিযোগ, ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত আর সেই সংস্থাই টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছে কয়েকজন অবসর প্রাপ্ত ব্যঙ্ককর্মীর সঙ্গে। ফ্ল্য়াট দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া হলেও ফ্ল্যাট দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ, ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না টাকাও। সম্প্রতি ইডি দফতরে গিয়ে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে এসেছিলেন ওই অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীরা। তাঁরা দাবি করেছিলেন, তাঁদের টাকা ফেরত না দেওয়া হলেও ওই টাকা দিয়েই কোটি টাকার ফ্ল্যাট কেনেন নুসরত।
সেই অভিযোগেই এবার নোটিস দেওয়া হয়েছে অভিনেত্রী তথা সাংসদকে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে হিঙ্গলগঞ্জ কলেজের গভর্নিং বডির একটি বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন নুসরত। বৈঠক শেষে TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে তিনি নোটিস প্রসঙ্গে বলেন, “এরকম কিছু হয়ে থাকলে আমি নিশ্চয় সহযোগিতা করব।” নোটিস পেয়েছেন কি না, সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে নুসরত বলেন, “আমি সকাল থেকে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এখনও চেক করিনি। গিয়ে দেখব।”
উল্লেখ্য, অভিযোগ সামনে আসার পর প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন নুসরত। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে সেখান থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। পরে সুদ সমেত সেই টাকা ফেরতও দিয়ে দিয়েছেন। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছিলেন, “দুর্নীতির সঙ্গে যোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে, আপনারা যা বলবেন তাই হবে।”