Recruitment Scam: ‘মিথ্যা কথা বলব না চন্দন ছেলেকে চাকরি দিয়েছিল’, অকপটে স্বীকার বাম নেতার স্ত্রী’র
Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরগরম রাজ্য। তারই মধ্যে সামনে এল নয়া অভিযোগ।
বাগদা : এসএসসি-র (SSC) ওএমআর কেলেঙ্কারির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় সম্প্রতি উত্তরপত্র প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এসএসসি-র ওয়েবসাইটে নম্বরের গরমিল থাকা সে সব ওএমআর শিট প্রকাশের পর ফের একবার সামনে এলে বাগদার চন্দন মণ্ডলের নাম। বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল অনেককে টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস। এবার সেই চন্দনের গ্রামেই এক শিক্ষক সম্পর্কে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক দুলাল বর। তাঁর দাবি, আদালতের নির্দেশে প্রকাশিত তালিকায় নাম রয়েছে শান্তনু বিশ্বাসের, যিনি সিপিএমের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান নিত্য বিশ্বাসের ছেলে। চন্দনকে টাকা দিয়েই শান্তনু চাকরি পেয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি। সেই অভিযোগ অবশ্য একেবারে অস্বীকার করছেন না শান্তনুর মা।
বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বর দাবি করেছেন, বাগদার মামা ভাগ্নে গ্রামের নিত্য বিশ্বাসের ছেলে শান্তনু বিশ্বাসের চাকরি সম্প্রতি চলে গিয়েছে। মামা ভাগ্নে গ্রামের দুই সিপিএম নেতা চাকরি দেওয়ার চক্রের সঙ্গে যুক্ত আছে বলে দাবি করেছেন তিনি। উল্লেখ করেছেন চন্দন বিশ্বাসের নাম।
বর্তমানে গাইঘাটার কলাসিমা স্বামী বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠে চাকরি করেন শান্তনু। শান্তনু বিশ্বাসের বাড়িতে গেলে তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি। তাঁর মা সাধনা বিশ্বাস দাবি করেন, তাঁর ছেলে প্রথমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন, আর সেই চাকরি চন্দনই দিয়েছিলেন। এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে চন্দনের চাকরি দেওয়ার কথা অকপটে স্বীকার করেন তিনি। বলেন, ‘মিথ্যা কথা বলব না চন্দন চাকরি দিয়েছিল, কিন্তু সেই চাকরি আমার ছেলে ছেড়ে দিয়েছিল। পরের নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছে।’ পরবর্তীতে হাইস্কুলে চাকরি পান শান্তনু, তাতে কোনও বেনিয়ম হয়নি বলেই দাবি করেছেন তাঁর মা। কিন্তু এই চাকরি চলে গিয়েছে কি না সেই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলেই দাবি।
বাগদার সিপিএম নেতা সুশান্ত চক্রবর্তীর দাবি, শান্তনু খুবই মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি প্রথমে প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছিলেন, পরে হাইস্কুলে চাকরি পান। তবে চন্দন যে এলাকায় অনেককেই চাকরি দিয়েছেন, সে কথা উল্লেখ করেছেন ওই বাম নেতা।
উল্লেখ্য, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস প্রথম এই চন্দন মণ্ডলের নাম সামনে আনেন। তিনি দাবি করেছিলেন চন্দন একসময় টাকা নিয়ে চাকরি দিতেন। পরে চন্দনকে সিবিআই তলব করে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল। জানা যায়, আগে সিপিএমের সদস্য ছিলেন চন্দন, পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।