River Erosion: রায়মঙ্গলে ভরা কোটাল, নদীগর্ভে তলিয়ে গেল জেটিঘাট সহ ৫০ ফুট
Basirhat: সোমবার ভোররাতে হঠাৎই দুর্বল জেটিঘাট নদীগর্ভে চলে যায়। পাশাপাশি আশপাশের সহ সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ ফুট এলাকা নদীতে তলিয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
বসিরহাট: ভরা কোটালের জেরে নদীর জলস্তর হঠাৎ বেড়ে গিয়ে বিপত্তি। হিঙ্গলগঞ্জের (Hingalganj) রায়মঙ্গল নদীগর্ভে তলিয়ে গেল জেটিঘাট সহ ৫০ ফুটের নদীপাড়। ঘটনার জেরে আতঙ্কে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। বসিরহাটে (Basirhat) সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সাহেবখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের রমাপুর গ্রাম। পাশেই রায়মঙ্গল নদী। ভরা কোটালে নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে ফের নদীপাড়ে ভাঙন। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত সংলগ্ন রমাপুর, সর্দারপাড়া, মাধবকাটি সহ একাধিক গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। সোমবার ভোররাতে হঠাৎই দুর্বল জেটিঘাট নদীগর্ভে চলে যায়। পাশাপাশি আশপাশের সহ সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ ফুট এলাকা নদীতে তলিয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনার জেরে আতঙ্কের বাতাবরণ দানা বাঁধছে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সাধারণ মানুষদের মনে।
এদিকে সোমবার ভোররাতের এই ঘটনার পর পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল। পাশাপাশি স্থানীয় বিডিও ও সেচ দফতরের আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে যান। নদী তীরবর্তী এলাকার গ্রামবাসীরা চাইছেন, দ্রুত যাতে এই নদীপাড় মেরামতির কাজ করা হয়। না হলে আগামী দিনে বড়সড় বিপর্যয় হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রায়মঙ্গল নদী তীরবর্তী রমাপুর, সর্দারপাড়া ও মাধবকাটি এলাকার প্রায় কয়েক হাজার গ্রামবাসী।
প্রসঙ্গত, বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবন এলাকায় নদী ভাঙনের সমস্যা দীর্ঘদিনের। এর আগে ইছামতী নদীর পাড়ে মাটি আলগা হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছিল টিভি নাইন বাংলায়। ইছামতী নদী তীরবর্তী ট্যাংরামারি, আংনাড়া, পার হাসনাবাদ সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের আশঙ্কার কথা উঠে এসেছিল ক্যামেরায়। এবার ভরা কোটালের জেরে রায়মঙ্গল নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ার ফলে আরও আতঙ্ক বাড়ল সুন্দরবনে। ভরা কোটালের জেরে ভেসে গেল দুর্বল জেটিঘাট। নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে প্রায় ৫০ ফুট এলাকা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার ফলে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষজন। দ্রুত যাতে এই সমস্যার সমাধান করা হয়, সেই দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।