AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

River Embankment: আলগা হচ্ছে মাটি, ভাঙছে বাঁধ, চরম আতঙ্কে ইছামতী নদী পাড়ের বাসিন্দারা

River Embankment: আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটছে ট্যাংরামারি, আংনাড়া, পার হাসনাবাদ সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের। তাঁরা ইতিমধ্যেই হাসনাবাদ পঞ্চায়েতকে লিখিতভাবে তাঁদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

River Embankment: আলগা হচ্ছে মাটি, ভাঙছে বাঁধ, চরম আতঙ্কে ইছামতী নদী পাড়ের বাসিন্দারা
ইছামতীর নদীপাড়
| Edited By: | Updated on: Feb 04, 2023 | 9:07 PM
Share

বসিরহাট: ভাঙতে শুরু করেছে ইছামতী নদীর মাটির বাঁধ (River Embankment)। চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে সুন্দরবন এলাকার প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার হাসনাবাদ পঞ্চায়েতের পাশ দিয়ে বসে গিয়েছে ইছামতী নদী। সেই নদীর স্রোত ধীরে ধীরে গ্রাস করছে নদীর পাড়ের মাটি। ইতিমধ্যেই ইছামতী নদীর ধারে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকার মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে। বড় বড় ফাটল দেখা গিয়েছে নদী বাঁধগুলিতে। আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটছে ট্যাংরামারি, আংনাড়া, পার হাসনাবাদ সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের। তাঁরা ইতিমধ্যেই হাসনাবাদ পঞ্চায়েতকে লিখিতভাবে তাঁদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা বলছেন, যত দিন যাচ্ছে, ততই মাটির নদীবাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে। রাত পাহারা দিচ্ছেন গ্রামের মানুষজন। এই এলাকার বেশির ভাগ মানুষই মৎস্যজীবী। মাছ ধরেই তাঁদের জীবিকা নির্বাহ হয়। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, যদি এই সব নদী বাঁধ ভেঙে গ্রামের ভিতরে নদীর জল ঢুকে যায়, তাহলে ভীষণ সমস্যার মধ্যে পড়বেন তাঁরা। এমন ভয়ঙ্কর কিছু হলে সুন্দরবনের হাসনাবাদ এলাকায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা সংশয়ের মধ্যে পড়ে যাবে বলে আশঙ্কা তাঁদের। বিষয়টিকে ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসনের নজরে এনেছেন গ্রামবাসীরা।

ইছামতীর নদী বাঁধের এই সমস্যার বিষয়ে বসিরহাটের সেচ আধিকারিক রানা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ইতিমধ্যে বিদ্যাদরী, কালিন্দী ও রায়মঙ্গল নদীর বাঁধের কাজ চলছে। ইছামতি নদী বাঁধের কাজও চলছে। পুরো বিষয়টি আমরা নজরে রেখেছি। যত দ্রুত সম্ভব এই বাঁধের কাজ স্থানীয় প্রশাসনকে দিয়ে করানোর চেষ্টা হবে।’ কিন্তু প্রশাসনের আশ্বাস সত্ত্বেও নিশ্চিন্ত থাকতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। সুন্দরবন এলাকার নদীবাঁধের সমস্যা দীর্ঘদিনের। তাঁরা বলছেন, দ্রুত এই নদীবাঁধের সমস্যার একটি সমাধান করুক প্রশাসন। জোয়ারের সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় নদীর ধারে বসবাসকারী মানুষদের। রাতে ঘুম আসে না তাঁদের। বলছেন, ‘উপরমহলের কেউ যদি এসে বিষয়টি দেখেন, তাহলে হয়ত সুরাহা হবে।’