Sundarbon: ফোনই ধরছেন না পরিবারের সদস্যরা, ২৪ ঘণ্টা ধরে বেডেই পড়ে দেহ! ফাঁপরে হাসপাতাল

Sundarbon: বিগত চার দিন ধরে হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্সরা তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিল। ধীরে ধীরে সুস্থও হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার মোরশেদ গাজির মৃত্যু হয়।

Sundarbon: ফোনই ধরছেন না পরিবারের সদস্যরা, ২৪ ঘণ্টা ধরে বেডেই পড়ে দেহ! ফাঁপরে হাসপাতাল
হাসপাতালেই পড়ে রয়েছে দেহ!Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 17, 2023 | 1:10 PM

বসিরহাট: হাসপাতালে ভর্তি করেই দায় সার! খোঁজ নেননি পরিবারের সদস্যরা। মৃত্যুর পরও দায় নিতে অস্বীকার। ফের অমানবিকতার সাক্ষী থাকল সুন্দরবন। ২৪ ঘণ্টা  ধরে হাসপাতালেই পড়ে থাকল মৃতদেহ। স্বজনের দেহ নিতে পরিবারের অনীহা। বসিরহাটের সুন্দরবনের সন্দেশখালি ২নম্বর ব্লকের খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শিতুলিয়া গ্রামের বছর ৬৫ মোরশেদ গাজি অসুস্থ হয়ে চলতি মাসের ১২ নভেম্বর সাণ্ডেলেরবিল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারের সদস্য়রাই ভর্তি করিয়ে দিয়ে যান। তারপর থেকে তাঁরা আর খোঁজ নেননি।

বিগত চার দিন ধরে হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্সরা তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিল। ধীরে ধীরে সুস্থও হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার মোরশেদ গাজির মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারের তরফে হাসপাতালে যে ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছিল, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাতে একাধিক বার ফোনও করে। কিন্তু ফোনের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে।

অগত্যা মৃতদেহ হাসপাতালের বেডে পড়েই রয়েছে। মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পরেও দেহটি নিয়ে যেতে পরিবারের লোকের অনীহার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হিঙ্গলগঞ্জ থানা, বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতিকে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানিয়েছে। কিন্তু মৃতদেহ এখনও পর্যন্ত কেউ নিতে আসেনি। যার ফলে সময় যত যাচ্ছে মৃতদেহে পচন শুরু হয়েছে, এমনকি দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে হাসপাতাল চত্বরে। ফলে সমস্যার মধ্যে পড়েছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পার্শ্ববর্তী রোগীরাও। আইনি জটিলতার মধ্যে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারাও দ্রুত সমাধান চাইছে।

হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শহীদুল্লাহ গাজী বলেন, “এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। কেন পরিবারের লোক তার মৃতদেহ নিয়ে যাচ্ছে না সেটা আমরা খতিয়ে দেখে যোগাযোগ করছি। প্রশাসনকে বলব তাদের বিরুদ্ধে সঠিক উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”