Suvendu Adhikari: আবাস প্লাসের সার্ভে করতে গিয়ে ‘আক্রান্ত’ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, অভিযোগ জানিয়েও পরে প্রত্যাহার
Suvendu Adhikari: সন্দেশখালি ২ ব্লকের বেরমাজুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়েছিলেন শম্পা মজুমদার নামে এক আশাকর্মী। সেখানেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ ওঠে বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর।
সন্দেশখালি: অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে। আর এই নিয়েই এবার সুর চড়ালেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিছুদিন আগেই কেন্দ্রের আবাস প্লাস প্রকল্পের তালিকা সরেজমিনে খতিয়ে দেখার জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই কাজ করতেই সন্দেশখালি ২ ব্লকের বেরমাজুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়েছিলেন শম্পা মজুমদার নামে এক আশাকর্মী। সেখানেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ ওঠে বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। একটি টুইট করে সেই অভিযোগ-পত্রের একটি প্রতিলিপিও শেয়ার করেছেন শুভেন্দু। চিঠিটি সন্দেশখালি-২ ব্লকের চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসার লিখেছিলেন স্থানীয় বিডিওকে।
শুভেন্দুর দাবি, পরে আবার সেই চাপের মুখে সেই অভিযোগপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। অভিযোগ প্রত্যাহারের একটি কপিও টুইটারে শেয়ার করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। দ্বিতীয় চিঠিটিও বিডিওকে পাঠিয়েছেন ওই ব্লকের চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসার। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, যে সমস্যাটি তৈরি হয়েছিল, সেটি স্থানীয় স্তরে সমাধান হয়ে গিয়েছে, তাই ওই মহিলা অভিযোগ তুলে নিচ্ছেন। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে সন্দেশখালি-২ ব্লকের বিডিও অর্ণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে টিভি নাইন বাংলার তরফে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
TMC miscreants attacked Anganwadi Worker Sampa Bose Majumdar at Anganwadi Centre at Bermajur-ii Gram Panchayat; Sandeshkhali-ii Block; North 24 Paraganas District for her Survey Report on Pradhan Mantri Awas Yojana. The CDPO complains to the BDO and later withdraws due pressure:- pic.twitter.com/fy6gRJZta8
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) December 10, 2022
তবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর বক্তব্য, “আমাদের বলে দেওয়া আছে, নবান্ন থেকে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা কিন্তু এখানে আসবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁদের সাহায্য করতে হবে। গরিব মানুষ সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি নয়। মনে রাখবেন, আমাকে ভোট দেননি বলে তিনি ঘর পাবেন না, এটা আমরা চাই না। এই কাজ প্রধান করেননি। যে ঘটনাটি ঘটেছিল, তারপর দুইজন ছেলেকে তুলে নিয়ে আসা হয়, পুলিশের সামনে তাঁরা ক্ষমা চেয়ে নেন। তাঁরা জানান, তাঁরা বিষয়টি প্রথমে বুঝতে পারেননি। ওদের বলা হয়, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সার্ভে করতে দেওয়া হয়েছে, নবান্ন থেকে এই নির্দেশ এসেছে। এই কাজ আমাদের সবাইকে দেখতে হবে। বিধায়করা নজর রাখছি। প্রকৃত মানুষ যেন ঘর পান।”