Basirhat TMC: মিনাখাঁয় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল, স্বশাসিত পঞ্চায়েতে তালা শাসকদলেরই

Basirhat: স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান সহ পঞ্চায়েতের অন্যান্য পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে একাধিকবার বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

Basirhat TMC: মিনাখাঁয় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল, স্বশাসিত পঞ্চায়েতে তালা শাসকদলেরই
তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 24, 2022 | 12:20 PM

বসিরহাট: তৃণমূলের বিরোধী তৃণমূলই। দুর্নীতির শিখরসীমায় পৌঁছেছেন প্রধান, এই অভিযোগে পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝোলাল গ্রামবাসী। তারাও তৃণমূল সমর্থক বলেই পরিচিত স্থানীয় এলাকায়। দুর্নীতির প্রতিবাদ রাস্তা অবরোধ পর্যন্ত পর্যন্ত গড়ায়। বুধবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সরগরম বসিরহাটের মিনাখাঁ ব্লকের চাপালি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার রাজনীতি।

স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান সহ পঞ্চায়েতের অন্যান্য পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে একাধিকবার বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। খোদ প্রধানের বিরুদ্ধে রয়েছে বেশ কয়েক লক্ষ টাকার তছরূপ ও স্বজনপোষণের অভিযোগ। তাই এর বিরোধিতায় পথে নামল তৃণমূলের অপরগোষ্ঠী। বুধবার ব্ল্যাকার হাতে বসিরহাট-মালঞ্চ রোড অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল সমর্থকরা।

পরবর্তীতে তারা তালা ঝুলিয়ে দেন পঞ্চায়েতের মূল গেটে। প্রধান সবিতা মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দীর্ঘ চার বছর ধরে বাংলা আবাস যোজনার টাকা, গভীর নলকূপ, রাস্তা, নিকাশি ও পুকুর সংস্কার সহ একগুচ্ছ পঞ্চায়েত স্তরের কাজে বরাদ্দক লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। প্রধানকে এই অভিযোগ বিদ্ধ করেছেন খোদ ওই পঞ্চায়েতের সেক্টর সভাপতি নিজামুদ্দিন মোল্লা ও তার অনুগামীরা।

গোটা বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগপত্র পাঠানো হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক, বসিরহাট মহকুমা শাসক এবং মিনাখাঁর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী আব্দুল গফফর তরফদার বলেন, ‘আমরা তৃণমূলের পুরনো দিনের কর্মী। তাই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিতে চাই না। আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যারা কন্ট্রাক্টর হিসাবে কাজ করতে চান তারা যেন তৃণমূল কংগ্রেস না করেন। অথচ আমাদের পঞ্চায়েতের প্রধান সহ সমস্ত সদস্য একের পর এক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। তাই আমাদের প্রতিবাদ। আমরা একাধিকবার দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে জানিয়েছি। তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।’

অপর এক স্থানীয় বাসিন্দা সালাউদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে জব কার্ডের টাকা পাইনি। আবাস যোজনার যে টাকা এসেছিল তার থেকে কুড়ি হাজার ত্রিশ হাজার টাকা করে কাটমানি নেওয়া হয়েছে। আর প্রধানের বাড়ি দিনে দিনে ঝাঁ চকচকে হয়েছে। প্রসাদ বানিয়ে ফেলেছেন বাড়িকে।’

প্রসঙ্গত, স্থানীয় বাসিন্দা এবং তৃণমূলের বিপরীত গোষ্ঠীর বিক্ষোভে প্রতিক্রিয়া মেলেনি অভিযুক্ত প্রধানের। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবস্থা বেগতিক বুঝে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন প্রধান।