Meenakshi Mukherjee: ঘুরছেন পার্থ-সুজিত, সন্দেশখালিতে যেতেই পুলিশ ঘিরে ধরল মীনাক্ষীকে
Meenakshi Mukherjee: ফেরি ঘাটের কাছে আসার পর মীনাক্ষী স্পষ্ট জানান যে মহিলা পুলিশ অফিসার তাঁকে সন্দেশখালি ঢুকতে বাধা দিয়েছেন তিনি তাঁর বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানাবেন। যদিও দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার জানান এত লোক নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানানো সম্ভব নয়।
সন্দেশখালি: এদিনই ফের সন্দেশখালিতে যান সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। সন্দেশখালির নানা প্রান্ত ঘুরে দেখেন। কথা বলছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। এদিকে একদিন আগে থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বেড়মজুরে। মাঠে নেমেছে পুলিশ, কমব্যাট ফোর্স। এদিন আবার সন্দেশখালিতে যান বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। কিন্তু, পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই পড়েন পুলিশি বাধার মুখে। এদিন শুরুতেই মাঝেরপাড়াতে একটি পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় মীনাক্ষীদের। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। পুলিশের তরফে সাফ জানানো হয়, যেহেতু সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গাতে একশো চুয়াল্লিশ ধারা রয়েছে তাই সেখানে একসঙ্গে এত লোকজন নিয়ে ঘোরাঘুরি করা যাবে না। তারপরই পুলিশের কাছে লিখিত অর্ডার দেখতে চান মীনাক্ষীরা। ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বের দাবি, কোনও অর্ডারই পুলিশের তরফে দেখানো হয়নি। তারপরই কিন্তু, একেবারে পুলিশি ঘেরাটোপে মাঝেরপাড়া থেকে মীনাক্ষাকে টোটোতে বসিয়ে সোজা নিয়ে চলে আসা হয় ধামাখালি ঘাটের দিকে।
দফা দফায় পুলিশি বাধা
ফেরি ঘাটের কাছে আসার পর মীনাক্ষী স্পষ্ট জানান যে মহিলা পুলিশ অফিসার তাঁকে সন্দেশখালি ঢুকতে বাধা দিয়েছেন তিনি তাঁর বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানাবেন। যদিও দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার জানান এত লোক নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানানো সম্ভব নয়। কারণ একটাই, ১৪৪ ধারা। ধামাখালি ঘাটের কাছে আসার পরেই ব্যাপাক পুলিশি বাধার মুখে পড়েন মীনাক্ষীরা। তখনই মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ ডিওয়াইএফআইয়ের যে অন্যান্য সদস্যরা আছেন তাঁরা রাস্তায় বসে পড়েন। শুরু হয় অবস্থান। চলতে থাকে ইনকিলাব জিন্দাবাদ স্লোগান। মীনাক্ষীর একটাই কথা, আমি থানায় যেতে চাই। পার্থ-সুজিতরা ঘুরতে পারলেও তাঁদের কেন বাধা সেই প্রশ্ন তোলা হয়। ক্ষোভ উগরে দিয়ে মীনাক্ষী বলেন, পার্থ ভৌমিক, সুজিত বসু, শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরারা ১২টা বছর ধরে এটা মানুষের উপর অত্যাচার করেছে। ওদের সঙ্গে এই পুলিশের শাস্তি চাই। মানুষ এখানকার পুলিশের কাছে যায়। পুলিশ তাঁদের শাহজাহান-শিবুদের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
গর্জে উঠলেন মীনাক্ষী
কিন্তু, পুলিশের তরফে জানানো হয় একসঙ্গে এতজনকে থানায় যেতে দেওয়া যাবে না। তথনই ফের ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। মহিলা পুলিশের বিশাল বাহিনীও ঘটনাস্থলে এসে যায়। মাঝেরপাড়াতেও বাধার সময় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক বচসা দেখা গিয়েছিল বাম কর্মী সমর্থকদের। একই ছবি দেখা গেল ধামাখালি ঘাটেও। পুলিশ ১৪৪ ধারা দেখাতেই তিনজন তিনজন করে দল বেঁধে রাস্তায় অবস্থানে বসে যান বাম কর্মীরা। মীনাক্ষীকে স্পষ্ট বলতে শোনা যায়, আমি রাস্ত আটকায়নি। ১৪৪ ধারায় তিনজন বসতে পারে। তাই ওনারা আমাকে গ্রেফতার করতে পারেন না। আমি থানাতে যাব। ওই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাব। বেআইনি কাজ করছে। তাই কমপ্লেন করব। মহিলা কমিশনে জানাব। তারপর উনি কোন থানাতে থাকেন সেই থানাতেও আমাদের কর্মসূচি হবে। এখানে অভিযোগ জানাতে না পারলে বসিরহাটে এসপি অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানাবেন বলেও জানিয়েছেন মীনাক্ষী।