Sandeshkhali: আর চাষ করা যাবে তো? শিবুদের কেড়ে নেওয়া জমি ফেরত পেয়েও সিঁদুরে মেঘ দেখছে সন্দেশখালি
Sandeshkhali: সন্দেশখালি ২ নম্বর পঞ্চায়েত অফিসে বৈঠক করেন BDO, ADM সহ অন্যান্য দফতরের আধিকারিকরা। যেসব জমির চরিত্র বদলে ভেড়ি তৈরি হয়েছিল, কিভাবে ওই সব জমি আবার চাষের উপযুক্ত করে তোলা যায় সেজন্য আগামীতে জয়েন্ট ইন্সপেকশন হবে বলে জানা যাচ্ছে।
সন্দেশখালি: এখনও ফুঁসছে সন্দেশখালি। অশান্তি ঠেকাতে তৈরি হয়েছে অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্র। শান্তি ফেরাতে নিত্য-নতুন কৌশল নিচ্ছে প্রশাসন। জমি দখল, চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে ভেড়ি তৈরি করা, লিজের টাকা না দেওয়া, বিগত কয়েকদিন ধরে ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়েছে বিভিন্ন ক্যাম্পে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে গ্রামবাসীদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া। জমি ফিরে পেলেও এখনো পুরোপুরি খুশি নন গ্রামবাসীদের একটা বড় অংশ। তাঁদের দাবি, জমি আবার চাষ যোগ্য হয়ে উঠলে, ফসল ফললে তবেই আমরা আরও বেশি খুশি হব।
এদিন সন্দেশখালি ২ নম্বর পঞ্চায়েত অফিসে বৈঠক করেন BDO, ADM সহ অন্যান্য দফতরের আধিকারিকরা। যেসব জমির চরিত্র বদলে ভেড়ি তৈরি হয়েছিল, কিভাবে ওই সব জমি আবার চাষের উপযুক্ত করে তোলা যায় সেজন্য আগামীতে জয়েন্ট ইন্সপেকশন হবে বলে জানা যাচ্ছে। জমির মালিকদেরও এদিন ডেকে পাঠানো হয় প্রশাসনের তরফে। আশ্বস্ত করা হয় জমি চাষ যোগ্য করে তোলার বিষয়ে। এ বিষয়ে সবরকম সহযোগিতা মিলবে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিন বিডিও অরুণ কুমার সামন্ত জানান, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় দেড়শো অভিযোগ জমি দখল সংক্রান্ত বিষয়ে। ১৩০ জন মলিককে জমি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাকি অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন নতুন করে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়ছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিচ্ছি। অন্যদিকে এক গ্রামবাসী বলছেন, “ফেরত দেওয়া হচ্ছে। বলেছে যে আবার চাষ করতে। কিন্তু, চাষ কতটা করতে পারব জানি না। সেটা না হওয়া পর্যন্ত শান্তি পাচ্ছি না। এতদিন তো সব জমি শিবু হাজরা নিয়ে নিয়েছিল। প্রায় তিন বছর আগে নিয়ে নিয়েছিল। সেই জমিই এখন ফেরত দিচ্ছে। যদি ধান চাষ করা যায় সেটাই আগে করব।”