বাবার কাছে ভুল তথ্য ছিল, ৮ কেন্দ্রে মতুয়া প্রার্থী করেছে বিজেপি: শান্তনু ঠাকুর

একুশের বিধানসভা ভোটে (West Bengal Assembly Election 2021) তাঁরা ৩০ টি আসন দাবি করেছিলেন। কিন্তু একজন মতুয়াকেও (Matua) প্রার্থী করা হয়নি বলে তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP) কে একসঙ্গে আক্রমণ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বাবা, অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান সেবায়েত মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর।

বাবার কাছে ভুল তথ্য ছিল, ৮ কেন্দ্রে মতুয়া প্রার্থী করেছে বিজেপি: শান্তনু ঠাকুর
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Mar 23, 2021 | 5:12 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: একুশের বিধানসভা ভোটে (West Bengal Assembly Election 2021) তাঁরা ৩০ টি আসন দাবি করেছিলেন। কিন্তু একজন মতুয়াকেও (Matua) প্রার্থী করা হয়নি বলে তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP) কে একসঙ্গে আক্রমণ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বাবা, অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান সেবায়েত মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। তবে মঙ্গলবার বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে ঠাকুর বাড়ির এক সদস্যের নাম রয়েছে তাদের প্রার্থী তালিকায়। তিনি সুব্রত ঠাকুর। গাইঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের বড় পুত্র সুব্রত ঠাকুরের নাম ঘোষণা হতেই কিছুটা ক্ষোভ প্রশমন হতে দেখা গিয়েছে মঞ্জুলের। এদিকে মঞ্জুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ছেলে শান্তুনুর দাবি, মোট ৮ টি কেন্দ্রে মতুয়াদের প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাঁর বাবার কাছে এ বিষয়ে তথ্য ছিল না বলে দাবি করলেন তিনি।

এদিন সুব্রত ঠাকুরের ভাই তথা বনগাঁ লোকসভার বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর দাদাকে সঙ্গে নিয়ে হরিচাঁদ মন্দিরে যান। সেখান থেকে শান্তনু ঠাকুর জানান বিজেপি মতুয়াদের সম্মান দিয়েছে। ৮ টি কেন্দ্রে মতুয়াদের প্রার্থী করেছে তারা। দু’দিন আগের মঞ্জুল ঠাকুরের বক্তব্যর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ বলেন, “বাবার (মঞ্জুর ঠাকুর) কাছে ভুল ইনফরমেশন ছিল। তিনি না জেনেই এই বক্তব্য করেছিলেন।” তবে কোন আট কেন্দ্রের কথা তিনি বলতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট করেননি শান্তনু। সুব্রত ছাড়া বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন মতুয়া ভক্ত অশোক কীর্তনীয়া, বনগাঁ দক্ষিণে প্রার্থী হয়েছেন স্বপন মজুমদার, যিনি মতুয়া না হলেও শান্তনু অনুগামী বলে পরিচিত। এঁদেরকেই বোঝাতে চেয়েছেন শান্তনু বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ।

এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা যুব সহ-সভাপতি অভিজিৎ বিশ্বাসের কটাক্ষ, বিজেপির ওপর চাপ দিয়ে, টাকা দিয়ে এবং ব্ল্যাকমেল করে সুব্রত ঠাকুরকে টিকিট পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ওঁরা মতুয়াভক্তদের জন্য কিছু করবেন না। অন্যদিকে প্রাক্তন সাংসদ তথা ঠাকুর বাড়ির আর এক সদস্য মমতা বালা ঠাকুর বলেন, “ওঁদের বাবা ছেলের কথা স্পষ্ট নয়। একবার বলছে ত্রিশটা, একবার বলছে মতুয়াদের জন্য টিকিট হলে হবে। আসলে নিজেরাই টিকিট পেল। আখেরে মতুয়াদের কোনও লাভ হয়নি।”

আরও পড়ুন: গাইঘাটায় বিজেপির প্রার্থী সুব্রত ঠাকুর, মমতার পা ছুঁয়ে প্রণাম করা বিশ্বজিৎ বাগদায় 

প্রসঙ্গত, ভোটেই মতুয়া ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর কাজ করে। এবার ভোটেও তার অন্যথা হচ্ছে না। মতুয়া ভোটকে ঝুলিতে টানতে সচেষ্ট যুযুধান দু’পক্ষই। এবিষয়ে দু’দলেরই হাতিয়ার নাগরিকত্ব (CAA) ইস্যু। একদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আশ্বাস দিয়েছেন, করোনার টিককরণ শেষ হলেই মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ঘোষণা করেছেন মতুয়ারা নাগরিকই। তাঁদের ভোটার কার্ড রয়েছে। তাঁরা ভোট দেন। নাগরিকত্ব ইস্যুতে এভাবেই মতুয়াদের নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে দুপক্ষেই।