Suvendu Adhikari: মণীশ শুক্লা খুনে পানিহাটির বিধায়কের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু, চান তদন্ত করুক সিবিআই

Manish Shukla Murder Case: গত ৪ অক্টোবর উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় থানা থেকে সামান্য দূরে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে।

Suvendu Adhikari: মণীশ শুক্লা খুনে পানিহাটির বিধায়কের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু, চান তদন্ত করুক সিবিআই
চন্দ্রমণি শুক্লার সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2022 | 10:47 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: নিহত বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার মণীশের খড়দহের বাড়িতে যান শুভেন্দু। তাঁর মা, বাবার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন। তিনি দাবি করেন, এই ঘটনায় রাজ্যের এক মন্ত্রী, পানিহাটির বিধায়ক-সহ শাসকদলের একাধিক হেভিওয়েট নেতার ষড়যন্ত্র রয়েছে। মণীশ শুক্লার খুন একেবারে পরিকল্পনা করে করা। যদিও এ বিষয়ে পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, বিজেপি না থাকলে যাঁর জায়গা জেলে হবে, তাঁর বক্তব্য নিয়ে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। এদিন মণীশ শুক্লার বাবা চন্দ্রমণি শুক্লাকে পাশে নিয়েই শুভেন্দু দাবি করেন, এই খুনের বিচার রাজ্য পুলিশ বা সরকার করবে না। তিনি চান পরিবার আদালতে যাক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তদন্তভার উঠুক, চান শুভেন্দু।

গত ৪ অক্টোবর উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় থানা থেকে সামান্য দূরে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে। তদন্তে নেমে পুলিশ সিসি ক্যামেরায় বেশ কিছু তথ্য পায়। দেখা যায়, ঘটনার সময় মণীশের গাড়িটি বিটি রোডের ধারে দাঁড় করানো ছিল। বেশ কয়েকজনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলেন তিনি। সে সময়ই মোটর বাইকে এসে কেউ খুব কাছ থেকে গুলি চালায় মণীশের উপর। এদিন মণীশের খড়দহের বাড়িতে প্রায় ৪৫ মিনিট ছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে রাজ্যের এক মন্ত্রী, পানিহাটির বিধায়কের বিরুদ্ধে যেমন বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। একইসঙ্গে সদ্য বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরে যাওয়া সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধেও সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, মণীশের মা তাঁকে আক্ষেপ করে জানিয়েছেন, মণীশ-খুনে অভিযুক্তদের সঙ্গে অর্জুন সিংয়ের ছবি বেরিয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, “আমি যখন আমার পুরনো দলে যুব সভাপতি ছিলাম, মণীশকে আমি সেই সময় এখানকার টাউনের যুব প্রেসিডেন্ট করেছিলাম। ২০০৯ সাল থেকে মণীশের সঙ্গে আমার সম্পর্ক, আজকের নয়। তাঁর মা আমার কাছে বলেছেন, যারা খুনি তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। পরিবার আতঙ্কিত। এর বিচার চায় পরিবার। আমি জানি পুলিশ বা সিআইডি এর বিচার করবে না। এরা পলিটিকাল এজেন্ডা নিয়ে চলে। ফলে ওনাকে বলেছি, কোর্টে লড়াই করতে হবে। আমরা সঙ্গে আছি। এতদিন অর্জুন সিং দেখছিলেন। আমাদের ঢোকার সুযোগ ছিল না। আমি এবার বসব। দল আইনি সহযোগিতা তো করবেই, আমি নিজে দেখব। দ্বিতীয়ত, উনি খুব কষ্ট পেয়েছেন। কারণ যাঁরা খুন করেছেন তাঁদের সঙ্গে অর্জুন সিংয়ের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। উনিই বলছিলেন।”

এ প্রসঙ্গে বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, “ওদের বাড়ির সঙ্গে আমার ৫০ বছরের সম্পর্ক। শুভেন্দু কী বলেছেন, তাতে কী এল গেল। বিজেপি না থাকলে তাঁর জায়গা জেলে হবে। তাঁর কথার জবাব দেওয়ার দরকার নেই। প্রকৃত দোষীকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব আমাদের সরকার নিয়েছে এবং সেটা বেরোবেই।”