Transfer Case: টেট দুর্নীতির পর এবার চাকরিতে বদলির নামে টাকা, ফের কাঠগড়ায় শাসকদলের নেতা
Scam: বিশ্বজিৎ বসু নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, তাঁরই এক নিকট আত্মীয়কে মুর্শিদাবাদ থেকে বনগাঁয় বদলি করানোর জন্য সুকান্ত মাহাতোকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন।
উত্তর ২৪ পরগনা: বদলি করিয়ে দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলের এক নেতার বিরুদ্ধে। এবার অভিযোগের আঙুল বনগাঁর এক আদিবাসী নেতার বিরুদ্ধে। সেই নেতার নামে সোশাল মিডিয়ায় পোস্টও করা হয়। যা ঘিরে শোরগোল জেলা তৃণমূলের অন্দরে। সম্প্রতি টেট দুর্নীতি নিয়ে বাগদার চন্দন মণ্ডলের নাম শিরোনামে উঠে আসে। সেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তও চলছে। এরইমধ্যে উত্তর ২৪ পরগনারই আরও এক নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল। বনগাঁর ছয়ঘড়িয়ার সুকান্ত (গোপাল) মাহাতো। তিনি একদিকে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের এসটি সেলের সভাপতি। একইসঙ্গে বনগাঁ হাইস্কুলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ও ছয়ঘড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যর স্বামী। বিশ্বজিৎ বসু নামে এক ব্যক্তি এই অভিযোগ তুলেছেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত।
বিশ্বজিৎ বসু নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, তাঁরই এক নিকট আত্মীয়কে মুর্শিদাবাদ থেকে বনগাঁয় বদলি করানোর জন্য সুকান্ত মাহাতোকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কাজ তো হয়ইনি। উল্টে টাকাও ফেরত পাননি। বিশ্বজিৎ বসুর দাবি, সে কারণে তিনি বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর দ্বারস্থও হন। পাল্টা সুকান্ত মাহাতোর দাবি, “এটা পুরোপুরি ভিত্তিহীন একটা অভিযোগ। এর কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। কেউ অভিযোগ করতেই পারেন। আমি তৃণমূল কংগ্রেস করি। দলের বাইরে গিয়ে আমি কোনওদিনই কিছু করিনি। প্রশ্নও নেই। আমি আদিবাসী সমাজকে নিয়ে থাকি। কেউ যদি অভিযোগ করেন, তাঁকে সেটা প্রমাণ করতে হবে। নিশ্চয়ই তাঁর কাছে কাগজপত্র থাকবে। সেগুলো বরং দেখান।”
যদিও বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানও দাবি করেন, এই নেতার বিরুদ্ধে তাঁর কাছে একাধিক অভিযোগ এসেছে। শঙ্কর আঢ্যর বক্তব্য, “আমি বিষয়টি শুনেছি। আমাদের দল কিন্তু এসব রেয়াত করে না। যারা দিল তারাই বা কেন দিল, সেটাও দেখতে হবে। তবে আমি নিজে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আমার কাছেও তিনজন অভিযোগ করেন চাকরি দেওয়ার নামে এই মাহাতো টাকা নিয়েছেন। আমি কড়া বার্তা দিই, এসব চলবে না। শুনছি আরও বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। কিছু মানুষের জন্য সকলকে খারাপ হতে হয়। আমি বলব, থানায় অভিযোগ জানাক সকলে। প্রশাসন যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিক। সে যত বড়ই নেতা হোক না কেন আর যত বড়ই তাবেদার হোক না কেন।”