Md Selim-Madan Mitra: মহম্মদ সেলিমের মুখোমুখি মদন মিত্র, রথতলায় বামেদের মিছিল ঘিরে উত্তেজনা
ED: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পরই রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে বামেরা।
উত্তর ২৪ পরগনা: কামারহাটিতে সিপিএমের মিছিল। তারই মাঝে হঠাৎ ‘এন্ট্রি’ মদন মিত্রের। এরপরই তুলকালাম বাধল এলাকায়। মদন মিত্রের অভিযোগ, লাঠিতে আকশি লাগানো অবস্থায় শতাধিক ছেলে তাঁর দিকে ধেয়ে আসেন। তাঁকে মারধর করাই সিপিএমের লোকজনের উদ্দেশ্য ছিল বলে দাবি কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের। অন্যদিকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের দাবি, তৃণমূলের লোকজনল তাঁদের মিছিল আটকানোর চেষ্টা করেছিল। সফল না হয়ে ফিরে যায়। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রথতলা মোড়ে উত্তেজনা ছড়ায়।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পরই রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে বামেরা। এদিন কামারহাটিতে একটি মিছিল করে তারা। কামারহাটি মোড় থেকে এই মিছিল শুরু হয়ে রথতলা মোড়ে আসতেই ঝামেলা বাধে। মদন মিত্রের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে।
কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, “রাস্তায় হাঁটা যাচ্ছে না এত জ্যাম। সামনে পুলিশকে দেখে জানতে চাইলাম, বলল সিপিএমের মিছিল আসছে। মিছিল আসছে বলে আমি সরে যাই যাতে ওদের মিছিলে সমস্যা না হয়। হঠাৎ আমি শুনছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক, আমার নামে আজেবাজে কথা বলে স্লোগান দিচ্ছে। এরকম নোংরা ভাষা ভাবা যায় না। ৩৪ বছরের খুনি, কান কাটা, নাক কাটা সব রাস্তায়। আমি খালি দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করেছি, আপনারা যে গালাগাল করছেন, কোনও প্রমাণ আছে। হঠাৎ দেখি প্রায় ১০০-১৫০ ছেলে লাঠি, লাঠির উপর আকশি লাগিয়ে মার মার বলে ধেয়ে আসছে। আমি, আমার সঙ্গে তিনজন ছিল। দেখি সামনে মহম্মদ সেলিম রয়েছেন। আমি ওনাকে বললামও।”
পাল্টা মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, “পাড়ায় যখন মিটিং মিছিল হয় তৃণমূলরা, মস্তানরা যেমন ভয় দেখায়, ওরা তেমন ভেবেছিল। কামারহাটি পুরসভার আগে মিছিল আটকে দিতে চেয়েছিল। আর পুলিশ ও তো তৃণমূলের নেতার কথা শুনেই…। কিন্তু মানুষের মেজাজ দেখে, মিছিলের মেজাজ দেখে ওরা সরে গিয়েছে। আমাদের মিছিল এগিয়েছে।”