Police Raid: সিবিআইয়ের পর এবার লালবাজার পুলিশের হানা সোদপুরে, পুলিশের ‘ইনফরমারে’র বিরুদ্ধেই তছরুপের অভিযোগ
Police Raid: পানিহাটি পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎপল্লির বাসিন্দা বাবাই দাস ওরফে হুলোর বাড়িতে সোমবার রাতেই হানা দেয় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল।
উত্তর ২৪ পরগনা: সোমবার সোদপুরে হানা দিয়েছিল ইডি। তার রেশ কাটার আগেই সোদপুরের ঘোলায় হানা দিল লালবাজার পুলিশ। সূত্রের খবর, এক যুবকের বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের টাকা তছরুপের অভিযোগের তদন্তে হানা দেন লালবাজারের পুলিশ আধিকারিকরা। পানিহাটি পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎপল্লির বাসিন্দা বাবাই দাস ওরফে হুলোর বাড়িতে সোমবার রাতেই হানা দেয় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। বাবাই এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। বাবাই পুলিশের ইনফরমার হিসাবে কাজ করতেন, এমনও শোনা গিয়েছে। সেই বাবাই লক্ষাধিক টাকা তছরুপে যুক্ত বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। যদিও এ নিয়ে তাঁর পরিবার কিছু বলতে চায়নি। তৃণমূলের তরফেও দাবি করা হয়েছে, বাবাই তৃণমূলের কেউ না। পানিহাটি তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সম্রাট চক্রবর্তী বলেন, “বাবাই দাস তৃণমূলের কেউ না। ১১ বছর ধরে দল ক্ষমতায় আছে। তাই সবাই নিজেকে তৃণমূল বলে জাহির করে। তবে আইন আইনের মতো চলবে।” বাবাইয়ের মা শুধু জানিয়েছেন, পুলিশ এসে বাবাইকে খুঁজছিল। কিন্তু বাবাই বাড়ি না থাকায় চলে যায়। এদিকে অভিযোগ, লালবাজারের আধিকারিকদের দেখে বাড়ির ছাদ টপকে পালিয়ে যান ওই যুবক।
সোদপুর ঘোলা নাটাগড় রাজেন্দ্রপল্লি এলাকায় সোমবার দিনভর তল্লাশি চালায় ইডি। চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট সুব্রত মালাকারের বাড়িতে ইডি হানার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ঘোলা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, পুলিশের ইনফর্মার হিসাবে কাজ করতেন বাবাই। সেই কাজকে হাতিয়ার করেই বিপুল অঙ্কের টাকা তিনি তছরুপ করেন বলে অভিযোগ।
এ নিয়ে বাবাই দাসের মা রুনু দাস বলেন, “দু’জন এসেছিলেন। বললেন লালবাজার থেকে এসেছেন। বাবাইয়ের দেখা করার কথা ছিল, দেখা করেনি, সেটাই বলতে এসেছিল। বাবাই গাড়ির লাইনে কাজ করে। ছেলে বাড়িতে ছিল না। বললাম, এলে জানাব।” অন্যদিকে এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চার নেতা জয় সাহা বলেন, “সিবিআই ইডির তৎপরতা দেখে রাজ্য পুলিশও যে তৎপর হচ্ছে, দেখে ভালই লাগছে। রাজ্য প্রশাসন যদি কাজ করে তা হলে তো কেন্দ্রীয় সংস্থার দরকার হয় না। শুধু পানিহাটি কেন, রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের সাধারণ কর্মী থেকে নেতা সকলেই দুর্নীতিগ্রস্ত। সময়ের অপেক্ষা, আরও অনেক বড় বড় মাথার দুর্নীতি সামনে আসবে।”
প্রসঙ্গত, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সোমবার সোদপুরের রাজেন্দ্রপল্লির বাসিন্দা সুব্রত মালাকারের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সকাল থেকে চারজন ইডি আধিকারিক সুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে সুব্রতর বাড়িতে আনা হয় দু’জন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আধিকারিককেও। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, তাঁর বাড়ি থেকে বেশ কিছু ব্যাঙ্কের বই, পাসবুক, নথি মিলেছে। সূত্রের খবর, বড় অঙ্কের টাকার লেনদেনেরও নথি পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।