Child Refer: শিশু রেফার করা হচ্ছে জেলা থেকে, পরিকাঠামোর অভাবেই কি ধাক্কা খাচ্ছে পরিষেবা?
North 24 Parganas: জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পিকুতে শয্যা না থাকার কারণে যাদের এই ইউনিটে রাখা প্রয়োজন হচ্ছে, তাদের অন্যত্র রেফার করে দেওয়া হচ্ছে।
উত্তর ২৪ পরগনা: বিসি রায় হাসপাতাল (BC Roy Hospital) শিশু চিকিৎসার অন্যতম নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র। অথচ এই হাসপাতালের নাম শুনলেই বুকটা ছ্যাৎ করে উঠছে শিশুর পরিবারের। ভয় পাচ্ছেন বাড়ির লোকেরা। গত ৭ দিনে ৪২ জন শিশু মারা গিয়েছে এখানে। প্রত্যেকেরই উপসর্গ কমবেশি একই- জ্বর, শ্বাসকষ্ট। পরিসংখ্যান বলছে, শ্বাসকষ্টের সমস্যায় প্রত্যেকদিন গড়ে ৬ থেকে ৭ জন শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। কোথায় ত্রুটি তা নিয়েও দিনভর কাটাছেঁড়া চলছে। রোগীর পরিজনরা কেউ কেউ পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। আবার কর্তৃপক্ষ বলছে, রেফার হয়ে আসা শিশুর শারীরিক অবস্থা এতটাই বেহাল, যুঝে উঠতে পারছে না। তবে কারণ যাই হোক, একরত্তি প্রাণগুলো শেষ হয়ে যাচ্ছে লড়তে লড়তেই। এটাই সবথেকে বড় সত্যি এই মুহূর্তে। রেফার সমস্যা যে একটা রয়েছে তা মানছে স্বাস্থ্য দফতরও। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন, দূরের জেলা থেকে বাচ্চাদের রেফার করে দেওয়ার ফলে পথের ধকলে আরও বেশি করে কাহিল হয়ে পড়ছে তারা। নিঃসন্দেহে যা উদ্বেগের। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কেন এভাবে জেলার হাসপাতাল থেকে অসুস্থদের বাচ্চাদের কলকাতায় পাঠাতে হচ্ছে? পরিকাঠামোগত সমস্যা? উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, সে অর্থে এখানে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা পিকু (PICU)-তে বেড অকুলান।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পিকুতে শয্যা না থাকার কারণে যাদের এই ইউনিটে রাখা প্রয়োজন হচ্ছে, তাদের অন্যত্র রেফার করে দেওয়া হচ্ছে। যদিও বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল জানিয়েছে, তারা প্রায় পাঁচটি মেডিক্যাল বেড তৈরি করে ফেলেছে। অন্যদিকে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় মোট ১১টি পিকু বেড তৈরি হচ্ছে।
এখনও অবধি ৩টি তৈরি করা হয়েছে। তবে আদৌ এই শয্যাগুলি পুরোপুরি পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের কি না তা নিয়ে একটা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এমনও সূত্রের দাবি, পিকুর ক্ষেত্রে যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা থাকা দরকার, এই ধরনের বেডে তা থাকছে না। তবে বারাসত হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার সুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, এই মেডিকেল কলেজ থেকে একজনকেও যাতে স্থানান্তরিত করতে না হয়, তার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবসময় সচেষ্ট রয়েছে।