‘মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে আমাকে’, জামিন না পেয়ে এবার মুখ খুলল এনামুল

ফের তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজকে পাঠায় আদালত। সূত্রের খবর, সিবিআই আইনজীবীর প্রভাবশালী ও স্মাগলিং তত্ত্বেই জামিন আটকে যায় এনামুলের।

'মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে আমাকে', জামিন না পেয়ে এবার মুখ খুলল এনামুল
গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত এনামুল হক।
Follow Us:
| Updated on: Jan 20, 2021 | 9:27 PM

আসানসোল: গরুপাচার কাণ্ডে (Cattel Smuggling) আবারও জামিন খারিজ হল এনামুলের (Enamul)। আদালত থেকে বেরিয়ে এই প্রথম সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলল গরুপাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত। বুধবার আদালত থেকে বের হওয়ার সময় ক্যামেরার সামনে এনামুলর হক দাবি করে, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে সিবিআই (CBI)। ব্যবসার সমস্ত নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও সিবিআই মিথ্যা কেস দিয়ে রেখেছে। এনামুলের আইনজীবী আদালতের বাইরে অভিযোগ করেন, এনামুলকে ফাঁসানোর পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। পাশাপাশি তাঁর দাবি, “সুপ্রিম কোর্টই তো বলেছিল সিবিআই হল তোতাপাখি। শেখানো বুলি আওড়ায়।”

আসানসোল সিবিআই আদালতে আজ দিনভর শুনানির পর জামিন নাকচ হয় গরুপাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত এনামুল হকের। ফের তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজকে পাঠায় আদালত। সূত্রের খবর, সিবিআই আইনজীবীর প্রভাবশালী ও স্মাগলিং তত্ত্বেই জামিন আটকে যায় এনামুলের।

১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকার পর আজ বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বিশেষ আসানসোল সিবিআই আদালতে তোলা হয় এনামুল হককে। সিবিআইয়ের বিচারক জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে শুরু হয় দুপক্ষের শুনানি পর্ব। এনামুলের জামিনের জন্য তাঁর আইনজীবী আবেদন করেন শেখর কুণ্ডু। পালটা জামিন নাকচের সওয়াল করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী কালীচরণ মিশ্র।

এনামুলের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু এদিন দাবি করেন, কোনও রকম স্মাগলিং কাণ্ডে যুক্ত নয় এনামুল। তিনি দাবি করেন, ২০ হাজার গরু স্মাগলিংয়ের অভিযোগ একেবারেই অসত্য। ১৬ হাজার ৪১৫টি গরু নিলামে বিক্রি করা হয়েছিল। ১৬ কোটি ৫৫ লাখ ২৮ হাজার ৪৭৪ টাকা আয় হয়। নিলামের সরকারি ৩ কোটি টাকা আয়কর দেওয়া হয়েছিল। এই ব্যবসায় ১ কোটি ২৮ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা লাভ হয়। তাই চোরা কারবারের কোনও প্রমাণ নেই। সব কিছু রয়েছে অন রেকর্ড।

আরও পড়ুন: গলছে বরফ, দেড় বছরের জন্য কৃষি আইন স্থগিত রাখতে রাজি কেন্দ্র

এনামুলের আইনজীবীর আরও দাবি, দু’দফায় ২৯টি ব্যাঙ্ক সিজ হলেও প্রমাণের অভাবে সব খুলে দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৭৪ দিন জেল ও পুলিশ হেফাজতে বন্দি থেকেছে এনামুল। এই ঘটনায় কোনও কাস্টম বা বিএসএফের কেউ গ্রেফতার হয়নি। তাই যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক এনামুলকে। অন্যদিকে সিবিআই আইনজীবী কালীচরণ মিশ্র বলেন, “এনামুল প্রভাবশালী। সে জামিন পেয়ে বাইরের গেলে সাক্ষীরা প্রভাবিত হবে। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করবে।” শেষ পর্যন্ত জামিন নাকচ করে দেন বিচারক জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, এর আগে তথ্য সমৃদ্ধ ডায়েরির কথা উল্লেখ সিবিআই আইনজীবীরা জামিন আটকে দিয়েছিলেন এনামুলের। তারপরে এনামুলের হাওয়ালা যোগের প্রসঙ্গ তুলেও জামিন আটকে যায়। ফলে তিনবার জামিন নাকচ হয়ে জেল হেফাজতে গেল এনামুল হক।

আরও পড়ুন: কর্মচারীদের ঠিকানা তৃণমূল, সহযোদ্ধা হতে চাইলে বিজেপিতে আসুন: শুভেন্দু