Anubrata Mondal: কী কারণে বাপ্পার নাম নিয়ে বিচারককে চিঠি পাঠিয়েছিলেন সুদীপ্ত? পুলিশের হাতে আসল তথ্য

Anubrata Mondal: পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ঘটনার কয়েকদিন আগেই বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়কে হুমকি দিয়েছিলেন সুদীপ্ত রায়। একটি ঝামেলার পর তাঁকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।

Anubrata Mondal: কী কারণে বাপ্পার নাম নিয়ে বিচারককে চিঠি পাঠিয়েছিলেন সুদীপ্ত? পুলিশের হাতে আসল তথ্য
বিচারককে হুমকি চিঠি পাঠিয়ে গ্রেফতার আইনজীবী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2022 | 4:10 PM

আসানসোল: পুরনো শত্রুতার জেরেই বাপ্পাকে ফাঁসাতে তার নাম স্ট্যাম্প ব্যবহার করে বিচারককে হুমকির চিঠি পাঠিয়েছিল সুদীপ্ত। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নাম ও স্ট্যাম্প ব্যবহার করে শুধু বিচারককে হুমকির চিঠি পাঠানোই নয়, বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় সেজে, তার ভুয়ো পরিচয় বানিয়ে আদালতে আগাম জামিন নিতে এসেছিলেন সুদীপ্ত রায়। সোমবার আসানসোলে আসতেই পুলিশ তাঁকে ধরে ফেলে। মঙ্গলবার ধৃত সুদীপ্তকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।

পুরনো শত্রুতার জেরেই পূর্ব বর্ধমানের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের হেডক্লার্ক তথা তৃণমূল নেতা বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নাম করে আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে হুমকি চিঠি পৌঁছয়। অনুব্রতর গ্রেফতারির পরই এই ধরনের ঘটনায় রীতিমতো নতুন করে রাজনৈতিক চর্চা তৈরি হয়। এ প্রসঙ্গে সিবিআই তদন্তের দাবি করেন খোদ অনুব্রত মণ্ডল। বাপ্পার বাড়িতে গিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

প্রাথমিক পর্যায়ে এর পিছনে বিজেপির ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পূর্ব বর্ধমানের আইনজীবী সুদীপ্ত রায়ের নাম উঠে আসে। মোবাইলের সূত্র ধরে আসানসোল বিএনআর মোড় থেকে সুদীপ্ত রায়কে গ্রেফতার করে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ।

প্রাথমিকভাবে জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুদীপ্তর পুরনো কোনও শত্রুতা ছিল। তার বদলা নিতেই এই পরিকল্পনা করেছিলেন সুদীপ্ত। স্পিড পোস্টে সুদীপ্তই এই চিঠি পাঠিয়েছিলেন বলে পুলিশ জানাচ্ছে। শুধু তাই নয়, আসানসোল জেলা শাসকের কাছে বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একটি আরটিআই মামলাও করেছিলেন তিনি।

পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ঘটনার কয়েকদিন আগেই বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়কে হুমকি দিয়েছিলেন সুদীপ্ত রায়। একটি ঝামেলার পর তাঁকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, আসানসোল আদালতে ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দিতে সুদীপ্তর হুমকির কথা জানান বাপ্পা। তারপরেই শুরু হয় তদন্ত। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সেই তদন্ত শুরু করে।

হাসান চৌধুরী দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি ওয়েস্ট অভিষেক মোদি বলেন, “বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নামে নকল পরিচয় পত্র বানিয়ে সোমবার আসানসোল আদালতে আগাম জামিন নিতে এসেছিলেন সুদীপ্ত রায়। এবং এই নকল পরিচয়পত্র তৈরি করার জন্য বর্ধমানের এক মহুরির সাহায্য নেন সুদীপ্ত।”

তাঁর কাছ থেকে উঠে আসে সুদীপ্ত সম্পর্কে আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির কয়েক দিনের মধ্যেই আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারকের কাছে পৌঁছয় হুমকি চিঠি। আর এরপরই বর্ধমান আদালতে বসাও বন্ধ করে দেন সুদীপ্ত। এই ঘটনায় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও দক্ষিণ থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে। কেবলই কি ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের ওপর আরও অন্য কোনও রাগ রয়েছে তাঁর, কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।