Cow Smuggling: চলন্ত লরিতে ত্রিপলের নীচে ওগুলো কী? গাড়ি দাঁড় করানোর চেষ্টা করতেই স্পিড বাড়িয়ে ছুট চালকের

Cow Smuggling: ছোট লরিতে ঢাকা দিয়ে গরু পাচারের ছক, আসানসোল-ধানবাদ সীমান্তে ধরা পড়ল চালক।

Cow Smuggling: চলন্ত লরিতে ত্রিপলের নীচে ওগুলো কী? গাড়ি দাঁড় করানোর চেষ্টা করতেই স্পিড বাড়িয়ে ছুট চালকের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2022 | 11:29 PM

আসানসোল: গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গোটা রাজ্যেই জোরদার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে বীরভূমের (Birbhum) ‘বেতাজ বাদশা’ অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বর্তমানে জেল হেফাজতে দিন কাটছে তাঁর। তবে তারপরেও কী বাংলায় গরু পাচারে রাশ টানা সম্ভব হয়েছে? সূত্র বলছে গরু পাচার এখনও অব্যাহত রয়েছে বাংলায়। বিহার থেকে পাচার হচ্ছে গরু। সেই গরুই ঢুকছে বাংলায়। তবে থেকে বেশি গরু আসছে বীরভূম আর মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। ২ নম্বর জাতীয় সড়কে গরু বোঝাই হয়ে চলে যাচ্ছে জেলায় জেলায়। এরইমধ্যে এবার ধানবাদ-আসানসোল (Dhanbad-Asansol) সীমান্ত ধরা পড়ল গরু বোঝাই গাড়ি। 

এদিকে আগে বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে পার্শেল ভ্যানের মত বড় কন্টেনার বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হত গরু। তবে এবার আর বড় কন্টেনার নয়। গরু পাচারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল ছোট লরি। তাতেই ত্রিপল ঢাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গরু। সূত্রের খবর, ধানবাদ পেরিয়ে গাড়িটি যখন আসানসোল সীমানার চেকপোস্টের দিকে যাচ্ছিল তখনই গাড়িটিকে দেখতে পান স্থানীয়রা। তাঁরা প্রথমে হাত দেখিয়ে গাড়িটিকে দাঁড়া করানোর চেষ্টা করলে গাড়ি থামেনি বলে অভিযোগ। উল্টে গাড়ির স্পিড আরও বাড়িয়ে দেন চালক। যদিও পরবর্তীতে নিরসার কাছে পাটরা মোড়ে গাড়িটিকে ধরা হয়।  দেখা যায় গাড়ির ভিতরে রয়েছে বেশ কিছু গরু। খবর যায় পুলিশে। 

ঘটনা প্রসঙ্গে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “আমরা হাত দেখাই। তখন গাড়ি একটু আস্তে করে। পরে ফের স্পিড বাড়িয়ে দেয় চালক। গাড়ি ছুটতে শুরু করে। আমরা তখন গাড়িটাকে ধাওয়া করি। কিছুদূর গিয়ে গাড়িটাকে ধরতে সমর্থ হই। তখন গাড়িতে কী আছে জিজ্ঞাস করাতে চালক বলে কিছু নেই। আমরা গাড়িকে উঁকি দিতেই দেখি গাড়ি ভর্তি গরু। কোনও কাগজও দেখাতে পারেনি। তারপরই আমরা পুলিশে খবর দিই। পুলিশ ব্যবস্থা নেয়।”

যদিও চালকের দাবি, বিহারের বক্সার জেলার পশু হাট থেকেই এই গরুগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বাংলায়। তবে গরুর হাটে গরু কেনাবেচারও কোনও কাগজ সে দেখাতে পারেনি। পরবর্তীতে গরুগুলিকে উদ্ধার করে ধানবাদের কাতরাসে গোশালায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, সপ্তাহ খানেক আগে ৪০ টি গরু সহ একটি কন্টেনার ধরা পড়েছিল ধানবাদে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা তারপর থেকেই সাধারণের নজর এড়াতে বড় কন্টেনার ব্য়াবহার করা বন্ধ করতে শুরু করছে পাচারকারীরা। পাচারের জন্য ব্যবহার বেড়েছে ছোট গাড়ির।