Coal Scam: জেল হেপাজতের ৪৭ দিন পার, কয়লাকাণ্ডে ফের জামিন নাকচ ৮ ইসিএল কর্তার

Asansol: মঙ্গলবার দু'পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল জবাব শেষে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী তাদেরকে আরও ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

Coal Scam: জেল হেপাজতের ৪৭ দিন পার, কয়লাকাণ্ডে ফের জামিন নাকচ ৮ ইসিএল কর্তার
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 31, 2022 | 9:41 AM

আসানসোল: কয়লাকাণ্ডে ইতিমধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করছে ইডি। এই সবের মধ্যেই আবার কয়লা পাচার মামলায় ধৃত ইসিএলের প্রাক্তন ও বর্তমান জিএম বা জেনারেল ম্যানেজার সহ আটজনের আবারও জামিন নাকচ হল আসানসোল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে।

মঙ্গলবার দু’পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল জবাব শেষে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী তাদেরকে আরও ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে বিচারক জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ধৃতদের হেফাজতের মেয়াদ ৪৭ দিন পার করলো। পরবর্তী শুনানির দিন হেফাজতের মেয়াদ বেড়ে ৬১ দিন হবে। এর আগে গত ১৬ অগস্ট এই ৮ জনকে আসানসোল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয়েছিল।

ওইদিন আশীস মুখোপাধ্যায়, অমিতাভ মুখোপাধ্যায়, আশীষ কুমার, জগদীন্দ্র গাঙ্গুলী, অঙ্কিতা সেনগুপ্ত সহ অন্যান্য আইনজীবীরা যে কোনও শর্তে মক্কেলদের জামিন দেওয়ার আবেদন করেন। তারা বলেন, এই মামলায় গত ১৯ জুলাই সিবিআই ৪১ জনের নাম সহ প্রথম বা যে সাপ্লিমেন্টারী চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতে আটজনের নাম আছে। তাদের বিরুদ্ধে চার্জও গঠন হয়েছে। তাহলে তাদের আর নতুন করে জেলে রাখা ও জিজ্ঞাসাবাদের কি প্রয়োজন আছে? আর এতদিন দিন জেল হেফাজতে থাকাকালীন এই মামলার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারী অফিসার তাদেরকে জেরা করে কি পেয়েছেন, তাও জানাননি।

এরপর সিবিআইয়ের তরফে এদিন এজলাসে আইনজীবী রাকেশ কুমার এই আটজনের জামিন দেওয়ার আবেদনের বিরোধিতা করেন। ওই দিনও সিবিআইয়ের তরফে জেল হেফাজতে থাকার সময় মামলার তদন্তের জন্য ধৃতদের জেরা করার আবেদন করা হয়েছিল। বিচারক সেই আবেদনও এদিন মঞ্জুর করেছেন।

বস্তুত, সিবিআই কয়লা পাচারের এই মামলায় গত ১৩ জুলাই প্রথমে যে সাতজনকে গ্রেফতার করেছিল তারা হলেন ইসিএলের প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার অভিজিৎ মল্লিক, সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, তন্ময় দাস, বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার এসসি মৈত্র এবং মুকেশ কুমার। এছাড়া রয়েছেন দুই নিরাপত্তা আধিকারিক দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় ও রিংকু বেহেরা। পরে সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়। তিনি তিনদিনের সিবিআই হেফাজত ছিলেন। বাকি সাতজন পাঁচ দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে ছিলেন।