Asansol: ঘিরে ধরে সাদা স্করপিও, মুখে কাপড় বাঁধা ৩-৪ জন, শহরের বুকে স্কুলে যাওয়ার পথেই শিল্পপতির ৭ বছরের নাতির সঙ্গে ভয়ঙ্কর ঘটনা
Asansol: জামুড়িয়া থানার শ্রীপুর ফাঁড়ি এলাকায় বোগড়া মোড়ের কাছে তাঁর গাড়িটিকে আটকায় ওই সাদা গাড়িটি। জনা সাতেক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে আসে। তাদের মুখ ঢাকা ছিল। তারা গাড়ি চালিককে ওই সাদা গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
আসানসোল: বাড়ির গাড়িতে স্কুলে যাচ্ছিল বছর সাতেকের বাচ্চা। আচমকাই একটা সাদা স্করপিও গাড়ি এসে পথ আটকায়। গাড়ি থেকে নেমে আসে মুখ ঢাকা তিন চারজন। আর গাড়ি থেকে বাচ্চাটা টেনে বার করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন গাড়ি চালক। তাতেই জড়ো হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। শহরের বুকে সাতসকালে এক শিল্পপতির নাতিকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। গোটা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শিল্পপতির গাড়িচালক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের রানিগঞ্জে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জামুড়িয়ার শ্রীপুর ফাঁড়ির পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সাত বছরের ওই নাবালকের ঠাকুরদা রামকৃষ্ণ সারদার রানিগঞ্জের মঙ্গলপুর স্পঞ্জ আয়রন কারখানা রয়েছে। রাজ্যের বাইরেও তাঁর শিল্প কলকারখানা রয়েছে। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে নিজেদের গাড়িতে করে স্কুলে যাচ্ছিল। গাড়ি চালকের বয়ান অনুযায়ী, একটি সাদা স্করপিও গাড়ি রানিগঞ্জ থেকেই তাঁদের গাড়ি অনুসরণ করছিল।
জামুড়িয়া থানার শ্রীপুর ফাঁড়ি এলাকায় বোগড়া মোড়ের কাছে তাঁর গাড়িটিকে আটকায় ওই সাদা গাড়িটি। জনা সাতেক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে আসে। তাদের মুখ ঢাকা ছিল। তারা গাড়ি চালিককে ওই সাদা গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দু’পক্ষের বচসা শুরু হয়।
বিষয় স্থানীয় বাসিন্দারা লক্ষ্য করে তেড়ে আসেন। তখনই ওই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। কী উদ্দেশ্য এই অপহরণের চেষ্টা, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। খবর পেয়ে শিল্পপতি রামকৃষ্ণ সারদা ঘটনাস্থলে যান। তিনি গাড়ি চালককে নিয়ে পুলিশকে সবটা জানান।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই পড়ুয়াকে আবার স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মুক্তিপণের জন্য অপহরনের চেষ্টা, নাকি ব্যক্তি শত্রুতা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। টার্গেট গাড়ি চালক নাকি শিল্পপতির নাতি, সেই নিয়েও রয়েছে ধন্দ।