Asansol Coal Mine: রানিগঞ্জের পর ধানবাদ, কয়লা খনিতে ধসে চাপা পড়ে মৃত ২
Asansol Coal Mine: সোমবার এই ঘটনা সামনে আসে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার তরফ থেকেও একই অভিযোগ তোলা হয়েছে। তারাও ইসিএলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
আসানসোল : রানিগঞ্জের পর এবার ধানবাদ। ধানবাদের ইসিএলের কয়লা খনিতে কয়লা চুরি করতে গিয়ে ধসে মৃত্যুর ফের ঘটনা ঘটল সোমবার। ইসিএলের খোলামুখ খনিতে অবৈধভাবে কয়লা কাটতে গিয়ে চাল ধসে রানিগঞ্জে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। তিনটি দেহের ময়নাতদন্ত হয়। যদিও সেই সংখ্যা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। কারণ আরটি চারটি পরিবার প্রকাশ্যে এসে বলছেন, তাঁদেরও বাড়ির লোকের মৃত্যু হয়েছে ধসে চাপা পড়ে। এই বিতর্কের মাঝেই এবার ইসিএলের কয়লা খনিতে অবৈধভাবে কয়লা কাটতে গিয়ে আবারও দুর্ঘটনা। মৃত্যু হল দু’জনের। যদিও আশঙ্কা, ধসের নীচে চাপা পড়ে থাকতে পারে আরও বেশ কয়েকজন। ইসিএলের মুগমা এরিয়ার কাপাসারা খোলামুখ খনিতে ঘটেছে এই ঘটনা।
ঝাড়খণ্ডের নিরসা থানার আওতায় ইসিএলের এই খোলামুখ খনিটি । যদিও ঘটনার পর রানিগঞ্জের মতই নিরসাতেও ইসিএল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসন কারুর হেলদোল দেখা যায়নি উদ্ধার কার্যে। নিরসার বিজেপি বিধায়ক অপর্ণা সেনগুপ্তর অভিযোগ ইসিএলের বিরুদ্ধে। খোলামুখ খনিটিকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা আছে পাঁচ মাস ধরে। এখানে না আছে সিকিউরিটি না আছে ফেন্সিং না আছে বাউন্ডারি।
সোমবার এই ঘটনা সামনে আসে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার তরফ থেকেও একই অভিযোগ তোলা হয়েছে। তারাও ইসিএলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। মৃতের নাম যমুনা রাজবংশী। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছেন।
যামুনার পরিবারে স্ত্রী-সহ ৫ ছেলে মেয়ে রয়েছে। ইসিএল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষতিপূরণের দাবি তোলা হয়। উল্লেখ্য, গত জুন মাসে এই নিরসাতে বিসিসিএলের খোলামুখ খনিতে কয়লা চুরি করতে গিয়ে ধস নেমেছিল। সেখানেও মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল ৫ জনের।