Asansol: ধরনা মঞ্চ রাতারাতি হয়ে যায় বাঁশ-টালির ঘর! কড়া পদক্ষেপ প্রশাসনের
Asansol: আসানসোল চেলিডাঙা এলাকায় শতাব্দী পার্কের বিপরীতে একটি বহুতল নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদেরই একাংশ এর প্রতিবাদ করেন। তাঁদের অভিযোগ, অবৈধভাবে বহুতল নির্মাণ হচ্ছে। প্রতিবাদে তারই সামনে বাঁশের মাচা বেঁধে ধরনায় বসেন অনেকে।
আসানসোল: ছিল প্যান্ডেলের ধরনা মঞ্চ। পরে বদলে যায় বাঁশ আর টালিতে। টালি বাঁশ দিয়ে করা ধরনামঞ্চ ভেঙে দিল আসানসোল পুরনিগম। ধরনা মঞ্চের কাউকে সেই সময় পাওয়া যায়নি এলাকায়। পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়র রাজেশ কুমার শ্রীবাস্তব ও নয়ন নস্কর, আইনজীবী সুদীপ্ত ঘটক-সহ পুরনিগমের অন্যান্য কর্মীদের উপস্তিতিতে এই ভাঙার কাজ হয়।
বিষয়টা ঠিক কী?
আসানসোল চেলিডাঙা এলাকায় শতাব্দী পার্কের বিপরীতে একটি বহুতল নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদেরই একাংশ এর প্রতিবাদ করেন। তাঁদের অভিযোগ, অবৈধভাবে বহুতল নির্মাণ হচ্ছে। প্রতিবাদে তারই সামনে বাঁশের মাচা বেঁধে ধরনায় বসেন অনেকে। সঠিক তদন্তের দাবিতে প্যান্ডেলে খাটিয়ে কয়েকমাস ধরেই ধরনা চালাচ্ছিল কয়েকজন স্থানীয় যুবক। পুরনিগম স্পষ্ট জানিয়েছে, এই বহুতল নির্মানের ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম হয়নি। ধরনা মঞ্চের আড়ালে জমি দখল ছিল উদ্দেশ্য বলে সন্দেহ করে পুর কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, রাতারাতি ধরনা মঞ্চ বাঁশ আর টালি দিয়ে পাকাপাকি তৈরি করে ফেলা হয়।
ইঞ্জিনিয়ার রাজেশ শ্রীবাস্তব বলেন, “পাশেই কয়েকটি স্কুল রয়েছে। সেখানে টালি বাঁশ চাটায় দিয়ে মঞ্চ বানানো হয়েছিল। মেয়র বিধান উপাধ্যায় নির্দেশ দেন রাস্তা দখল করে কোন কাজ করা যাবে না, ভেঙে ফেলতে হবে। মেয়রের নির্দেশে ভাঙার কাজ হল।” তবে যাঁরা ধরনায় বসছিলেন, তাঁদের আর কাউকেই ঘটনার সময়ে থাকতে দেখা যায়নি।