Asansol: ‘আগে থেকে এক ফোঁটাও আঁচ করতে পারিনি’, উৎসবের মরসুমেই পেটের ভাত হারালেন ওঁরা
Asansol: তিনি এও জানিয়েছেন, আজ পর্যন্ত তাঁদের নামে কোনও অভিযোগও কোথাও পাওয়া যায়নি। তাঁরা নিজেদের কাজ যথেষ্ট স্বচ্ছতার সঙ্গেই করেছেন। সাফাইকর্মীরা জানিয়েছে, যদি তাঁদের কাজে বহাল না করা হয়, তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলন করবেন।
আসানসোল: বিনা নোটিসে ইস্কোর অস্থায়ী কর্মীদের বরখাস্ত। আর তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কুলটি সেল ওয়ার্কসের অস্থায়ী তথা ঠিকা কর্মীরা পথে নামলেন। অস্থায়ী শ্রমিকরা কুলটি সেলের গেটে পৌঁছে তাঁরা বিরোধ প্রদর্শন করে ও বিক্ষোভ দেখান। ১৫ জন ঠিকা শ্রমিক তথা সাফাইকর্মীদের ১ নভেম্বর থেকে টেন্ডার পুনর্নবীকরণ না হওয়ার কারণে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে কুলটি সেলের ম্যানেজমেন্টকেও জানানো হয়েছে।
সাফাইকর্মীদের সুপারভাইজার জানিয়েছেন, এই বিষয়ে ঠিকাদার তাঁদের কিছুই জানাননি। প্রতিবার ঠিকাদার নতুন নতুন কিছু লোক নিয়ে ৫ হাজার টাকার চুক্তিতে কাজ করায় ও ইচ্ছে মতো বাদ দিয়ে দেয়। তিনি বলেন, “প্রয়োজনে নতুন সাফাইকর্মী নিযুক্ত হবে। তবে এই সাফাইকর্মীরা গত ১২ বছর ধরে অর্চনা গোস্বামী নামের টেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত হয়ে কুলটি টাউনশিপ এলাকায় কাজ করছেন।”
তিনি এও জানিয়েছেন, আজ পর্যন্ত তাঁদের নামে কোনও অভিযোগও কোথাও পাওয়া যায়নি। তাঁরা নিজেদের কাজ যথেষ্ট স্বচ্ছতার সঙ্গেই করেছেন। সাফাইকর্মীরা জানিয়েছে, যদি তাঁদের কাজে বহাল না করা হয়, তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলন করবেন।
এখানকার একেবারে দুঃস্থ পরিবারের সদস্যরাই ঠিকা শ্রমিক হিসাবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। কাজ চলে যাওয়ায় পথে বসেছেন তাঁরা। এবার কীভাবে তাঁর দিন গুজরান হবে, সেটাই ভেবে ঠাওর করতে পারছেন না। এক কাজ হারানো ব্যক্তি বলেন, “আমরা আগে থেকে এক ফোঁটাও আঁচ করতে পারিনি। আমাদের যেভাবে পথে বসতে হবে। এমনিতেই উৎসবের মরসুম। তারওপর পরিবারের চাপ রয়েছে। এভাবে কাজ চলে গেলে কী হবে! আমাদের কথা কে ভাববে? “