Tribal Protest: আদিবাসীদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ, ঝামেলা থামাতে আসরে পুলিশ
Asansol: অপরদিকে এই সভা শুরু হওয়ার আগেই বার্নপুর ভারতী ভবনের সামনে পৌঁছে যান "মাঝি মাপাঞ্জি মারওয়া" সংগঠনের বেশ কিছু সমর্থক ও নেতৃত্বরা। তারা বিরোধিতা করে কালো পতাকা হাতে নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
আসানসোল: আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান নিয়ে উত্তেজনা আসানসোলে। আদিবাসী দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ বাধে। মঙ্গলবার আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের সভায় সলখান মুর্মু যাতে যোগ না দেয় , এই দাবি নিয়ে কালো পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখায় আদিবাসী সংগঠন ‘মাঝি মাপাঞ্জি মারওয়া’ পশ্চিম বর্ধমান শাখার সদস্যরা।
আসানসোলের ভারতী ভবনে ‘আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের’ পক্ষ থেকে একটি ইনডোর সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের নেতা সালখান মুর্মুর।এই সভা শুরু হওয়ার আগেই বার্নপুর ভারতী ভবনের সামনে পৌঁছে যান ‘মাঝি মাপাঞ্জি মারওয়া’ সংগঠনের বেশ কিছু সমর্থক ও নেতৃত্বরা। তারা বিরোধিতা করে কালো পতাকা হাতে নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ঘটনাস্থলে হীরাপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়।
পাশাপাশি পুলিশের এসিপি পদমর্যাদার অফিসাররা পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের পক্ষ থেকে সালখান মুর্মু বলেন , “সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী যে কোনও জায়গায় শান্তিপূর্ণ বৈঠক করা যায় কিছু লোক তাদের এই বৈঠক করতে বাধা দিচ্ছেন ।”
অপরদিকে মাঝি মাপাঞ্জি মারওয়া সংগঠনের পক্ষ থেকে মোতিলাল সোরেন বলেন , “আমাদের এই এলাকা শান্তিপূর্ণ। উনি এমন কিছু বক্তব্য রেখে বেড়াচ্ছেন যাতে আমাদের ভাইয়ে ভাইয়ে গন্ডগোল লেগে যাচ্ছে। তাই ওনার এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে বিরোধিতা করছি।” ঘটনার পরে আদিবাসী সেঙ্গল অভিযান সংগঠনের পক্ষ থেকে বার্নপুরের ত্রিবেণী মোড় অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভ শুরু করেন আদিবাসী সেঙ্গল অভিযানের সদস্যরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরে পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়।