Asansol Murder Update: প্রচুর সম্পত্তি! শ্যুটার ভাড়া করে খনিকর্মীকে খুন করিয়েছিলেন স্ত্রী-ই
Paschim Bardhaman: মঙ্গোলির থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে সন্দীপ নুনিয়া যোগাযোগ করে বিশাল পাসওয়ান নামে আরও এক দুষ্কৃতীর সঙ্গে। সেই বিশালই বিহার থেকে ভাড়াটে শ্যুটার ধরে আনে।
পশ্চিম বর্ধমান: মাত্র ২ দিন। মাত্র দুই দিনেই খনিকর্মী পরেশ মারাণ্ডির খুনের (Murder) কিনারা করলেন তদন্তকারীরা। কুলটির ইসিএল কর্মীর স্থাবর-অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি ভোগ করতে বিহার থেকে শার্প শ্যুটার ভাড়া করে এনেছিলেন স্ত্রী মঙ্গোলি মারাণ্ডি। সেই ভাড়াটে শ্যুটারই পরেশকে গুলি করে খুন (Murder) করে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে পরেশের অনেক টাকার সম্পত্তি। জমিজমা, নগদ টাকা ছাড়াও বাড়িঘর রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি, খনিকর্মী হওয়ার সুবাদে মোটা জীবনবিমা ও অন্যান্য সুবিধাও পেতেন পরেশ। ফলে, তাঁর মৃত্যুতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হতেন পরেশের স্ত্রী মঙ্গোলি। সেইমতো তদন্তও শুরু করেন তাঁরা। ধীরে ধীরে গোটা ঘটনা সামনে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, ইসিএলকর্মী পরেশ মাণ্ডিকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মৃতের স্ত্রী-সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ষড়যন্ত্রের মূল চক্রী ছিলেন মঙ্গোলি মারাণ্ডি, ভিকি নুনিয়া ও সন্দীপ নুনিয়া। আড়াই লক্ষ টাকার বিনিময়ে পরেশকে খুন করার চুক্তি করে মঙ্গোলি। আগাম হিসেবে দেওয়া হয় ২০ হাজার টাকা।
এ যেন আস্ত একটা সিনেমা! মঙ্গোলির থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে সন্দীপ নুনিয়া যোগাযোগ করে বিশাল পাসওয়ান নামে আরও এক দুষ্কৃতীর সঙ্গে। সেই বিশালই বিহার থেকে ভাড়াটে শ্যুটার ধরে আনে। বুধবার সকালে সেই শ্যুটার পরেশকে খুন করে বিশালের সঙ্গে পালিয়ে যায়। ঘটনায় বিশাল-সহ বাকি তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও ওই ভাড়াটে শ্যুটারকে এখনও পাওয়া যায়নি। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র, একটি বাইক, একটি স্কুটি।
বুধবার, আসানসোলের কুলটিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন পরেশ মারাণ্ডি। কুলটির শীতলপুরের কাছে তুলসি হেরে নামক গ্রামে গুলিচালনার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের কাছে একটি ফাঁকা জায়গায় অস্থায়ী একটি ঝুপড়ি দোকান ছিল। স্থানীয়রা অনুমান করছেন, ওই দোকানে দেশি মদের কারবার চলতো। ওই দোকানের সামনেই ঘটনাটি ঘটে। অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ ওঠে।
স্থানীয় বাসিন্দারা গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পরেশ। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয়। দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। প্রাথমিকভাবে পুলিশ অনুমান করেছিল, মদের দোকানে অশান্তির জেরে খুন হতে পারেন পরেশ। তবে তদন্তে নেমে ধীরে ধীরে সত্যি সামনে আসে। অবশেষে শুক্রবার, খুনের ঘটনায় পরেশের স্ত্রীকেই গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh on Abhishek Banerjee’s Goa Trip: ‘গোয়ায় এই সিজনে অনেকে বেড়াতে যায়…ওঁ গিয়েছেন’