Durgapur: জ্যোতিষী বলেছিলেন, ফাঁড়া আছে; কলকাতা থেকে কিশোরকে দুর্গাপুরে পাঠিয়েও হল না শেষ রক্ষা
Durgapur Death: জ্যোতিষীর কথা শুনে ছেলেকে কাঁকসার খাটপুকুর এলাকায় মামার বাড়িতে রেখে এসেছিলেন তার বাবা-মা। কিন্তু বিপদ সেখানেও পিছু ছাড়ল না।
দুর্গাপুর: জ্যোতিষী বলেছিলেন, কপালে ফাঁড়া রয়েছে। ছেলেকে অন্য কোথাও রেখে আসার কথা বলেছিলেন তিনি। সেই মতো মামার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল কিশোরকে। কিন্তু তারপরও শেষরক্ষা হল না। দুর্গাপুরের কাঁকসা থানা এলাকার বাঁশকোপা এলাকা থেকে উদ্ধার হয় কিশোরের নিথর দেহ। এদিন কালভার্টের নীচে তার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। মৃত ওই কিশোরের নাম ধীরজ রায় (১৯)। কিশোরের বাড়ি কলকাতার টালিগঞ্জে। জ্যোতিষীর কথা শুনে ছেলেকে কাঁকসার খাটপুকুর এলাকায় মামার বাড়িতে রেখে এসেছিলেন তার বাবা-মা। কিন্তু বিপদ সেখানেও পিছু ছাড়ল না। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বছর উনিশের ধীরজ রবিবার মামার বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিল। বাড়িতে বলেছিল গোপালপুর যাবে। কিন্তু তারপর থেকেই নিখোঁজ ওই কিশোর। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও সন্ধান পাওয়া যায়নি তার। শেষ পর্যন্ত এদিন কাঁকসা থানার অন্তর্গত বাঁশকোপা সংলগ্ন এলএনটি মোড়ের কাছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে একটি কালভার্টের নীচে তার দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। কালভার্টটির ঢাকনা খোলা ছিল। এদিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই কালভার্টটির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নাকে দুর্গন্ধ পান। তাঁদের মনে খটকা জাগে। কালভার্টের কাছে গিয়ে উঁকি মারতেই দেখা যায়, কিশোরের দেহ পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কাঁকসা থানার পুলিশ। কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। যে কালভার্টটির নীচে কিশোরের দেহ পড়ে ছিল, তার পাশেই উদ্ধার হয় ধীরজের সাইকেলটিও। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, কালভার্টের ঢাকনা খোলা থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ওই কালভার্টটির ঢাকনা খোলা রয়েছে। এই নিয়ে একরাশ ক্ষোভও উগরে দেন তাঁরা। অবিলম্বে যাতে জাতীয় সড়কের এই অংশের সার্ভিস রোড খুলে দেওয়া হয়, সেই দাবিও জানিয়েছে তাঁরা।