Dengue: জেলার মধ্য়ে আসানসোল পুর এলাকাতেই ডেঙ্গি বেশি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হলেও সতর্ক থাকার বার্তা

Asansol: স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, পুরনিগম এলাকায় আশাকর্মীরা এলাকা ভাগ করে প্রতি দু’দিন অন্তর বাড়ি, বাড়ি পর্যবেক্ষণ করছেন।

Dengue: জেলার মধ্য়ে আসানসোল পুর এলাকাতেই ডেঙ্গি বেশি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হলেও সতর্ক থাকার বার্তা
ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগের।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 17, 2022 | 6:30 PM

পশ্চিম বর্ধমান: ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তবু হালকাভাবে কোনও কিছু নিতে নারাজ পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত এই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৪ জন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে চাইছে। সেই লক্ষ্যে সম্প্রতি আসানসোল জেলা হাসপাতাল, ৮টি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং জেলার ২টি পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারককে নিয়ে বৈঠকও করেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শেখ মহম্মদ ইউনুস। অন্যদিকে আসানসোল পুর এলাকার সাফাই ও নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সিএমওএইচ। পুরনিগমের আরও তৎপর হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

সম্প্রতি কাঁকসায় এক নাবালিকার মৃত্যু হয়। সে ডেঙ্গি আক্রান্ত ছিল বলে পরিবার জানায়। এরপরই তৎপরতা বাড়িয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। তারা বলছে, অবস্থা উদ্বেগজনক নয়। তবে সতর্কতায় কোনও গাফিলতি রাখছে না তারা। সিএমওএইচ মহম্মদ শেখ ইউনুস খান বলেন, “খুব একটা পরিস্থিতি খারাপ নেই। নিয়ন্ত্রণেই আছে। পুরনিগম এলাকা যেহেতু বড়, সেখানেই সংক্রমিতের সংখ্যা বেশি। বাকি এলাকায় অনেকটাই কম। ব্লকগুলোর মধ্যে ৪টে ৫টা করে এরকম কেস আছে। কাঁকসা, সালানপুরে ১০টা ১০টা কেস আছে। আগের তুলনায় সাপ্তাহিক কেস কমেছে।”

স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, পুরনিগম এলাকায় আশাকর্মীরা এলাকা ভাগ করে প্রতি দু’দিন অন্তর বাড়ি, বাড়ি পর্যবেক্ষণ করছেন। জেলা হাসপাতাল, ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পুরসভার স্বাস্থ্যকর্তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কোনও রোগী তিন দিনের বেশি জ্বরে আক্রান্ত থাকলে, তাঁর রক্ত পরীক্ষা করিয়ে ডেঙ্গির সংক্রমণ ঘটেছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। সিএমওএইচের দাবি, দুর্গাপুর পুরএলাকার পরিস্থিতি তুলনামূলক অনেকটাই ভাল। কিন্তু চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে আসানসোল পুরএলাকা। আসানসোল পুরসভাকে বাড়তি তৎপরতার সঙ্গে সাফাই ও নিকাশির উপরে জোর দিতে বলা হয়েছে।

ডেঙ্গির পরিসংখ্যানে আসানসোল নিয়ে চিন্তার কথা জানা যাচ্ছে। জেলা হাসপাতাল সুপার নিখিলচন্দ্র দাস বলেন, “এখনও পর্যন্ত আমার হাসপাতালে ১৩০-এর মতো আছে। প্রোটোকল মেনে চিকিৎসা করা হচ্ছে। সকলেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। খুব জটিল কিছু আমরা পাইনি।” জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব বলছে, আসানসোল পুরএলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে। গত চার পাঁচ বছরের পরিসংখ্যানকে ছাপিয়ে গিয়েছে এই সংখ্যা বলেও সূত্রের খবর। গত জুনে ১৯টি ওয়ার্ডকে ‘ডেঙ্গি-সংবেদনশীল’ ঘোষণা করে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার কথা জানিয়েছিল আসানসোল পুরনিগম। ডেঙ্গি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ১০৬টি ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে ৯০০টির বেশি দল। তিনজন করে সদস্য থাকছে সেই দলে।

আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা জানি ডেঙ্গি বাড়ছে। ১০৬টা ওয়ার্ডের মধ্যে ১২৭ জন এসেছে। আমরা জানি গত চার পাঁচ বছরের মধ্যে সবথেকে বেশি। এতগুলো হতো না। কিন্তু অনেক লোক আছে যাঁরা বাইরে থেকে এসেও বলছে এখানে হয়েছে। সেটা কিন্তু আসলে হয়নি।”